মেঘ আমায় ডেকে বলে,
যাবি নাকি আমার সাথে
তেপান্তরের পারে?
আমি বলি,তাই নাকি?
কিন্তু কীভাবে?
আমি যে ভাসতে পারি না।
মেঘ তখন ঠাট্টা করে বলে,
এই জন্যই তুই দুখি,
আর আমি কত সুখি।
আমি স্বাধীনভাবে এদিক ওদিক যেতে পারি,
কারও কোনো বারণ নেই।
‘তুই শুধু তোর বাড়ির জানলার পাশে বসে আমাকে দেখিস,
আর কল্পনার জগতে ডুবে যাস’।
মেঘ আরও বলে,
দেখেছিস,আমি কত রূপের বাহারে ভরপুর।
ক্ষণেক তফাতেই আকাশে আকার বদলাই।
আমি তখন বলি,
আহা রে, কতই না সাজ তোমার!
মেঘ তখন আবার বলে,
আমার আগমনে মানুষ ধন্য হয়,
আবার আমারই রণচন্ডী মূর্তিতে
বন্যা ঘটাই দেশে বিদেশে।
আমি বলি তখন,
সত্যিই তুমি মহান।
তোমার এত কর্মকান্ডই-
আমাদের কবিতা লেখার রসদ জোগায়।
আমি বললাম,
আচ্ছা, তোমার এত রূপ,তা
মানলাম।
কিন্তু তুমি থাকো কোথায়?
তোমার কোনো বাড়ি আছে,
আমার যেমন আছে?
মেঘ তখন তাজ্জব হয়ে গেল।
অবাক হয়ে মনে মনে ভাবল,
এই ক্ষুদ্র মানুষ বলে কী?
আমি বললাম,
কী ভাই,বলবে তো?
মেঘের নির্বিকার ভাব দেখে আমিই হেসে উঠলাম।
বললাম,
এই তো তুমি দুখি।
তোমার নেই কোনো বাড়ি।
দেশ বিদেশ ভ্রমণের পর-
দিনের শেষে দেখো
তোমার কোনো বাড়ি নেই।
আমার কিন্তু একটি ছোট্ট ঘর আছে।
রোদ-জলে মাথা গোঁজার চিরকালীন ঠাঁই তাতে।
হতে পারে ছোটো কিন্তু তাতেই আমি স্বাধীন।