জন্মেছি মায়ের গর্ভ থেকে
একদিন আকাশে হারিয়ে যাব বলে।

লিখছি এখন কবিতা
একদিন আর লিখব না বলে।

কাঁদছি এখন মনের সুখে
একদিন একেবারে চুপ হয়ে যাব বলে।

ভালোবাসছি এখন সবাইকে
একদিন আর কাউকে ভালোবাসতে পারব না বলে।

নিজের ছবি খাতায় এঁকে রাখছি
একদিন আমার এই ছবিই বলে দেবে কেমন দেখতে ছিলাম আমি।

আছি এখন পৃথিবীতে
একদিন আর থাকব না বলে।

গান গাইছি এখন গলা ছেড়ে
একদিন আর গাইব না বলে।

ঘুরে নিচ্ছি এখন এদেশ-ওদেশ
একদিন আর ঘুরতে পারব না বলে।

বুকে এখন ব্যথা জমাচ্ছি
একদিন আর ব্যথা জমাতে পারব না বলে।

এখন মানুষ হয়ে জীবনটা উপভোগ করে নিচ্ছি
একদিন আর মানুষ হয়ে থাকব না বলে।

বর্তমান হয়ে আছি এখন
একদিন ইতিহাস হয়ে যাব বলে।

এখন জন্মভূমির ধুলো ভালো করে গায়ে মেখে নিচ্ছি
একদিন এই ভূমি ছেড়ে অনেক দূরে চলে যাব বলে।

এখন নিজের বাড়িখানা আরও ভালো করে দেখে নিচ্ছি
একদিন আর এই বাড়িতে ফিরে আসব না বলে।

এখন রজনীগন্ধা ফুলের সুবাসে মন-প্রাণ ভরিয়ে নিচ্ছি
একদিন আর পৌঁছাবে না এই সুবাস আমি যেখানে থাকব।

এখন ঈশ্বরকে দেখতে পাচ্ছি না
একদিন ঈশ্বরের দেশে গিয়ে ঈশ্বরকে দেখতে পাব বলে।

--- অর্ঘ্যদীপ চক্রবর্তী
১৯/৫/২০২৪