একটা ছোটো কাগজের ঘুড়ি আকাশে
ফড়ফড় করে উড়ছিল-
উড়ছিল! নাকি ছটপট করে মরছিল!
গলায় সুতোটা বেঁধে থেকে,
কিছুতেই যেন শেষ স্বাধীনতাটুকু পাচ্ছিলো না;
আর পাচ্ছিলো না বলেই তার পাওয়ার তৃষ্ণা
একটু একটু করে বাড়ছিল!
ঠিক যেন সেই লোকটার মতো-
এক মুখ নোংরা গোঁফ দাড়ি, রোগ লম্বা শীর্ণ দেহ,
যাকে রোজ দেখতাম কয়েদখানার রেলিঙের পাশে,
চুপটি করে দাঁড়িয়ে আকাশ দেখতো-
দেখতো না, যেন দুচোখ দিয়ে গিলতো!
তারপর-
যখন জেলের ঘন্টা বেজে যেতো,
তাকে ফিরতে হতো।
তখন তার চোখে দেখতে পেতাম
এক অদ্ভুত অমানবিক, করুন-কাতর চাহনি
আমার বুকের ভেতরটায় ভীষণ কষ্ট হতো-
কি জানি কেন?
সেই লোকটা, নাকি সেই ঘুড়িটার কথা ভেবে!!