স্বপ্ন দেখি গভীর রাতে
দুরন্ত এক ঘূর্ণিঝড়ে
পাগল হাওয়ায় জীবন ওড়ে
পতাকির ওই শীর্ণ হাতে ।
ভৈরবীদের মত্ত নাচন
তাতেই বুঝি মরণ বাঁচন
নটরাজের নৃত্যবেগে
জীবন দোলে ছন্দে লয়ে ।
আঁধার মেঘে ছায় যে আকাশ
সেথায় মেশে বুকফাটা শ্বাস
তরুণ হেথায় তপ্ত আগুন
থর থরি প্রাণ হওয়ার টানে ।
বোনের হাতে ভায়ের ভালে
পড়লো হেথায় রক্তফোঁটা
সাপের বিষে বিষায় বাতাস
বন্ধ হলো কুসুম ফোটা ।
মানিনী ওই প্রকৃতি আজ
ফিরায় যে মুখ গভীর দুখে
বসন্তের ওই ফুলেল সুবাস
যায় যে থেমে ঝড়ের মুখে ।
পৃথ্বী যে যায় রসাতলে
অভিশাপ এ কার সে পাপে?
সভ্যতার ওই ঘূর্ণিপাকে
ঘূর্ণি খাওয়ায় জীবনটাকে ।
কিন্তু তারপর......
তারপর ঘুম ভাঙতেই
চোখ মেলে চেয়ে দেখি
তরতাজা যুবক এক
নিথর, নিস্পন্দ, সুশীতল
গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন ।
কচি ঘাসের বুকে সাজায়ে
সে যুবকের নীল চিতা
বৃদ্ধ বসি আগুন পোহাবে
এ দৃশ্য দেখিতে যেন
স্বপ্ন নাহি ভাঙে আর,
আর যেন নাহি উঠি
ঘুমের চিরনিদ্রা হতে।।