আমার জন্য দুটুকরো কাঠ রেখো শমী
নিজেকে শুদ্ধ করি কাঁচা আগুনে জ্বলে
নিষ্কলুষ বীর্য যেটুকু সুপ্ত শরীরের গোপন রক্তে
তার সবটুকু যেন অঙ্কুরিত হয় নিষ্কর্ষিত জমিতে
কঠিন শীতের ছোঁয়া আর উষ্ণ বাতাস পেয়েছি সারা জীবন
পায়ের নীচে পাই নি শুধু ভিজে মাটির ছোঁয়া
দুহাত ছড়িয়ে নিয়েছি আঘ্রাণ আগুনরঙা ফুলের
ধমনী জুড়ে নিমজ্জিত ছিল প্রাণের স্পন্দন।
স্বল্পায়ু এই জীবনপথে সবটাই ছিল তোমাকে আগলে রাখা
হয়তো তোমার অনুভূতি স্পর্শ করেনি
ভরসাহীন গহীন রাতে ধরেছি তোমার হাত
আজ আমাকে মৃত্যু দাও প্রিয়া
কিছুই চাইনি আমি, তোমার সোনালি ভোর তোমারই থাক
আমার চিতাতে শুধু দুটুকরো কাঠ দিয়ো
ঘৃতশুদ্ধ শরীরে চন্দনের প্রলেপ নাই বা হলো
বৃষ্টিভেজা সোঁদা মাটির গন্ধে ভরুক উত্তরীয়
রক্তস্নাত বীভীষিকায় শুরু হোক শ্মশান পূজো
বলি চড়ুক সকল রিপু নির্মমতা সাঙ্গ হোক
মাদলের তালে চলকে উঠুক মজ্জাগত অভিযোগ
অস্তাগত সূর্য মিশে যাক ছায়াপথে আসুক দারুণ দুর্যোগ
রিক্ত বাসনা, সুপ্ত কামনা থেঁতলে যাক উন্মাদ ঘোড়ার ক্ষুরে
চোখের জলে ভিজুক কাঠ, জ্বলুক চিতা আমার হাড়ে
নিভেই যখন গেলাম প্রিয়া, নিভতে এবার দাও মোরে
শ্মশান জুড়ে লাগুক আগুন, জ্বলুক চিতা আমার হাড়ে।।