ত্রয়োদশীর চাঁদ যেন মিথ্যে রাংতায় মোড়া
আমার বিথীকায় গেছে তোমার পথ গানের সুরে,
কাঁটা ঝোপের আড়ে গোলাপের বাসি গন্ধ-
রজনীগন্ধার মালা ঝুলছে শুকিয়ে তোমার গলার দুপাশে
বয়সের ভারে নতজানু শরীর লাঠিতে সাবলম্বী,
ঝরনার ধারাতে বয়ে যায় স্মৃতির অবলোকন-
হাতের মুঠোয় ধরা বাজপাখির শানিত নখ,
অচেনা ক্ষত কালসিটে পড়ে কালো হতে থাকে
দিকচক্রবালে উপুড় হয়ে কাঁদে পূর্ণিমা-
নির্বাচিত কিছু ছায়াছবি জমাট বাঁধে বৃষ্টির জলে,
হৃদয়ে তরল অন্ধকার ঢেলে নষ্ট করেছি নিজের ঘর-
আজ কোনো শব্দ নেই, বেঁচে আছে শুধু মান অভিমান
আমি সুরাপাত্র হয়ে সাজিয়ে দিয়েছিলাম নিজেকে
যার কানায় কানায় ভরা ছিল শুধু বিষ-
নাড়ী কেটে রক্তের পারদ হলকা দিয়ে উঠুক,
তুমি চুমুক দিও না আমার শুকনো ঠোঁটে
কেন বারবার কষ্ট পাও আমার পাগলামিতে?
কেন মৃত্যুঞ্জয় মন্ত্র জপ করো আমার হৃদয় ছুঁয়ে?
আমার মাথার ভেতর হাজার শেয়ালের হাহাকার-
বুভুক্ষু বুকের ভাঁজে তবু গড়িয়ে যায় তরল আগুন!