চিলেকোঠার জানলাটা
আর বন্ধ হয় না আজকাল
স্মৃতিবিদূর চৌবন্দী ফ্রেমে
সারিবদ্ধ উইয়ের প্রলেপ।
প্রতিরাতের রোজনামচা যেন
নথিবদ্ধ এক একটি ইতিহাস
ব্যার্থ কোনো শিল্পীর অকাতর
প্রচেষ্টা ক্যানভাসের ওপর
দৈবাৎ কুড়িয়ে পাওয়া খন্ড খন্ড
দৃশ্যরাশি থেকে গড়ে ওঠা এক পুষ্পমালা
ভাটির আগুনের মতো গনগনে আলোয়
যেন মিটমিটে তারাদের খই ফোটে
দুহাত ভরে ছড়িয়ে দিই তাদের
সবুজ গোপন শরীরে তোমার এখানে ওখানে
অশ্রাব্য পেলব ঠোঁটের কোণায়
উদ্বেলিত গ্রীবার সংস্পর্শ থেকে
অপরিশ্রুত শঙ্খবৃন্ত বেয়ে
কটিদেশের গোপন প্রহেলিকায়
মদিরা ধরা থেকে যায় হাতে
তবু আমি মাতালের মতো চেয়ে দেখি
আমার সমস্ত শব্দপুঞ্জ ঝরে পড়ে
নক্ষত্রের অভিযাত্রার মতো দিগবিদিকে
মৌ-প্রিয়ার যৌবনে চেতনাশীল হয়
আকাঙ্খিত সুন্দরের অভিলাষ
অথবা কালকেউটে আচ্ছন্ন হয় সঙ্গিনীর বাহুপাশে
অনচ্ছ তারার মতো চেয়ে থাকি
নিজের সৃষ্টির দিকে
অপলক দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে আসে
উদ্বেলিত বুক থেকে উপচে আসা
অশ্রুধারায়
কতোবার ভেবেছি তাকে বাঁধবো
বিষাক্ত কৌশলে
অথচ সে নিরুত্তাপ নির্বিকার
জলজ উদ্ভিদ যেন সমস্ত চেতনা জুড়ে
উদ্বেল কবিকে দেয় জীবনের গাঢ় মদ
অনাঘ্রাত নীল আকাশে ভেসে যাই
সুতীব্র হয় যখন সূর্যের চুম্বন
তাপিত হই অপ্রাপনীয় বাসনার তাপে
শুক্রকীটেরা বাসা বাঁধে চিন্তনের গভীরে
চেতনার বুদ্বুদ হয় বিস্ফোটিত অকস্মাৎ
মুছে যায় চারুকলার চিত্রাবলী
নির্বাপিত রাত্রিশেষে
অনন্তর একা আমি আর আমার অসীম শূন্যতা