বাপের কোলে শুয়ে আমি,
শুনতাম কত শোলক।
সেই বাপের ঘামে ঝরা,
জুটল তবে নোলক।
সোনামুখী সুঁই হাতে,
মা করল তাড়া,
হতছাড়ি পাজি মেয়ে,
থাম বলছি, দাঁড়া।
জোর করে মা একদিন,
নাকটি দিল ফুঁড়ে।
কান্না আর চিৎকারে,
মাতল পাড়া জুড়ে।
ক’দিন বাদে বাবার হাতে,
দু’আনির নোলক,
আহা! কি সুন্দর ছোট্ট,
সোনার একটি গোলক।
নিজের হাতে মা একদিন,
করিয়ে দিলেন স্নান।
কেমন জানি মুখটা মায়ের
সেদিন ছিল ম্লান।
স্নানের শেষে মায়ের হাতে,
লাল টুকটুকে এক শাড়ী,
ঘুরিয়ে পেঁচিয়ে পরিয়ে দিলেন,
আঁচল দিলেন ছাড়ি।
দাদি এসে মায়ের হাতে,
দিলেন নোলক খানা।
তখন কি আর এতকিছু
ছিল আমার জানা?
নোলক পরে ঘোমটা তুলে,
কবুল হল বলা।
নোলক তো নয় শিকল পড়া,
ভিন্ন জীবন চলা।
ছোট্ট বেলায় ছিল আমার
নোলক পরার ইচ্ছা,
নোলক পরা গাঁয়ের মেয়ের
এইতো জীবন কিচ্ছা।