দূর প্রবাসে বন্ধু তুমি, রইলা কোথায় গিয়া,
দেশে আসো, গাঁয়ে যাব তোমায় সাথে নিয়া।
ঘর পালিয়ে যখন তখন যেতাম স্টিমারঘাটে,
জড় হতাম বন্ধুরা সব আগৈলঝাড়ার হাটে।
বিকেল হলেই চলে যেতাম কানা-কাসেম গলি,
থাকুক ওসব এখন তবে ডিটেইলস না হয় বলি।
তুমি ছিলে ভাজা চালের অনেক বেশি ভক্ত,
আমার তো ভাই হজম করা হত ভারি শক্ত।
একটু হলেই লেগে যেত কাদা ছোড়া-ছুড়ি,
তবুও সবাই বলত মোদের দুষ্ট মানিক-জুড়ি।
তোমার মায়ের কাছে ছিলাম ভীষণ বিশ্বস্ত,
সাথে আছি জেনে তিনি হতেন আশ্বস্ত।
তোমার বাবার হুংকারে ভয়ে কাঁপা-কাঁপি,
সামলে দেবার জন্যে তুমি করতে চাপা-চাপি!
ঠাট্টা তামশা ঝগড়া বিবাদ নিত্য দিনই হত,
সবই আবার মিটিয়ে নিতাম যখন দিবাগত।
মধুময় সব স্মৃতি গুলো জমাট বেঁধে আছে,
আসোনা ভাই ফিরে আবার বাংলা মায়ের কাছে।
বড়ই যে ভাই ইচ্ছে করে সেরাল গাঁয়ে যেতে,
লিকার চা আর চালের ভাজা তোমার সাথে খেতে।
কোথায় আছো কেমন আছো কোন খবর নাই,
মনটা ব্যাকুল ক্যামনে আবার তোমায় খুঁজে পাই।
যেখানেই ভাই থাকোনা কেন, ভাল তুমি থেকো,
ভুলনা বন্ধু এই অধমেরে, একটু মনে রেখো ।।