ঘটি’তে যদিও বা, আছে কিছু বটে,
থলে’তে কিচ্ছু নাই, এমন’টিই রটে।
মানুষ অন্যের প্রতিভা অন্বেষণ করে, পুরস্কৃত করে, সন্মানিত করে, প্রচারও করে। আবার কেউ কেউ নিজের ঢাক আর ঢোল নিজেই পেটায়; দুড়ুম দুড়ুম। কম-বেশি কিংবা বেশি-বেশি। খালি কলসি বাজে বেশি। আমি ভাই এদের দলে, কলসি খালি হোক, তাতে কি? কলসি তো একটা আছে, ওটা কোন সাইজের, কি প্রকৃতির, এটা জানাতে পারাটাও কম কিসের? কি বলেন?
যাই হোক, আমার যে কিছু লেখালেখির প্রতিভা-ত্রতিভা লুক্কাইত আছে, (আছে বলছি এই কারনে যে, ওটা এখনও মুকুলেই আছে, পাকা আমের মত টস-টসে হয়নি; আর হবেও না এই জনমে; হতভাগা আমি, মুকুলেই ঝড়িয়া পড়িলাম কিনা!) এটা আমি প্রথম টের পাই, প্রেসক্লাবের (যায়গাটা খেয়াল করুন, এক্কেবারে মোক্ষম স্থানে, মাথা থেকে বেরোল তো, সদ্যজাত ‘সৃষ্টি’ নিয়ে সরাসরি প্রেস কনফারেন্স হাজির; লাইট, ক্যামেরা আর মাইক্রোফোনের সামনে। আজকাল তো যে কেউ, যে কোন ইসুতেই প্রেস কনফারেন্স করে থাকেন কিনা। যদিওবা, সেদিন আমার আর ভিতরে ঢোকার সাহস হয়নি। এটা কি ভুল সিদ্ধান্ত ছিল? লুল।) সামনে যখন বাসের অপেক্ষায়; দু’এক ফোঁটা বৃষ্টি কপালে ( কপালে কেন? আমি কি তখন আকাশ পানে, মুখ তুলে তাকিয়ে ছিলাম!) পড়তে না পড়তে, মাথা চুইয়ে, হৃদয় কম্পিত করে, অন্য আর কাউকে না জানিয়ে, টুপ করে একখানা ‘ছড়া’ থলে’তে পুরে নিলাম।
মন আমার।
মনকে বলি, ভাবছ কেন?
কার জন্যে?
মন বলে, ভাববো কেন?
ভাবনা কিসের?
মন বলে, ভাবুক তুমি
কার জন্যে?
মনকে বলি, চাতক আমি
যার জন্যে।
মনকে বলি, কাঁদছ কেন?
কার জন্যে?
মন বলে, কাঁদব কেন?
কি জন্যে?
মন বলে, ভিজছ কেন?
বৃষ্টিতে?
মনকে বলি, ভেজা ছাড়া
উপায় কি?
ঢাকতে ভেজা দৃষ্টিকে।
পুনশ্চঃ মন কে আমার...... মন আমার চায়......... ঘোড়া দৌড়াইতে।
পাগল মনরে, মন কেন এত কথা বলে......।
(পাঠককুল, আমার উপরের ছড়াটার সাথে কি গানের কলিটা Match করল? কি জানি কি? ছড়াটা পকেটস্থ করার পরে, যে গানের সুরটা মনে মনে ভাজছিলাম, ওটা ছিল এটা!