'বর এসেছে বীরের ছাঁদে, বিয়ের লগ্ন আটটা'-
মেয়ের চুলে টান পড়লো , মাথায় পড়লো গাট্টা।
এসব এখন কি পড়ছিস, বলল মা রেগে
দুদিন পরে মাধ্যমিক পরীক্ষা, পড়ো জোরে জোরে
পড়া সব শেষ করো, পড়ীক্ষা ঘাড়ের পরে
রবিঠাকুর পড়বি পরে, অনেক সময় পাছে।
পরীক্ষা তো মাসে মাসে, সারা বছর বয়
এসব লেখা পড়তে মাগো, বড্ড ইচ্ছে হয়।
মনে ভাবি চলে যায়, পদ্মানদীর ধারে
সোনার তরীতে ভেসে যায়, সকাল কিম্বা সাঁঝে।
সেখানে তো লেখাপড়া, আর পরীক্ষাও নাই
মায়ের বকুনি বাবার ঝাকুনি, ছেড়ে চলে যাই।
ভালোবেসে বললে মা, ভাবছিস কেন এতো
ভবিষ্যতে এসব পড়ার, সময় পাবি কত শত।
পরীক্ষার বই পড়োতে হবে, বিদ্যা অর্জন হবে
পড়াশুনা করলে পরে, মানুষ হবেই তবে।
যুগের হাওয়ায় ছিঁড়ে গেছে, কল্পলোকের জাল
পড়াশুনা হচ্ছে এখন, বড় হওয়ার ঢাল।
মা ভাবেন মেয়ে আমার, খুজছে স্বপ্নলোকের চাবি
প্রকৃতি আর কল্পনার কি, এতই বেশি দাবি?
উপায় কি আর তবুও যে, খেলা,গল্প পড়া ছেড়ে
যুগের সাথে তাল মেলাতে, পরীক্ষা দিতেই হবে।
মেয়েকে বলেন- মন দিয়ে, এখন করো পড়াশুনা
বড় হয়ে এসব পড়ার, অনেক সময় পাবে।
রচনাকালঃ ২৫/০২/২০১৫