আমি অর্চিতা দাস। জন্ম ইং-১৯৮৬ সালে।আমার জন্ম পশ্চিমবঙ্গের স্বরুপনগর থানার চারঘাটের ভূমিতলা গ্রামে মামার বাড়িতে।বাড়ি একই থানার পূবালী গ্রামে। ৩ বছর বয়স থেকে মামা বাড়িতে থাকি।মামা বাড়িতে তখন কোন বাচ্চা ছিলনা আর পড়াশুনা করানোর জন্য।ছোট বেলা থেকে একটু লিখতে ইচ্ছে করত কিন্তু লেখার জন্য কেউ ছিলনা যে এবিষয়ে আমাকে সাহায্য করবে।যাই হোক লেখা হয়নি।নিজে একটু আধটু গল্প লিখতাম বা কবিতা লেখার চেষ্টা করতাম।সেসব লেখা যদিও কখনও কাউকে দেখায়নি বা যত্ন করেও রাখিনি। ইং-২০০৭ সালে বি.এ পাশ করার পরেই ঐ মামা বাড়ি থেকেই বিয়ে হয়ে যায়।বিয়ের পর স্বাভাবিক ভাবে সকলেরই বাবা-মা,মামা বাড়ির সকলের জন্য মন খারাপ করে। তখন আমার জীবনসাথী আমাকে কবিতা লিখতে বলে।আমার স্বামীকে আপনারা কবিতার আসরে অনেকেই চেনেন উনি তপন দাস।উনার জোর করাতেই প্রথম লিখতে শুরু করি।
প্রথম দিকে কি লিখব বুঝতে পারতাম না ।উনি সবসময় বলতেন যাহোক কিছুই লেখ হবে। আপনারা জানেন উনি নানা পত্রিকায় লেখেন বা একটা মাসিক পত্রিকার সম্পাদক তাই কিছু লেখা হয়তো লিখতে লিখতে চলে গেলেন আমি সেটার পরের টুকু লেখার চেষ্টা করতাম।উনি আশা জাগাতো যে হবে বা এইতো ঠিক হচ্ছে। এক কথায় বলা যায় আমার কবিতা লেখা বা কবিতার আসরে যোগ দেওয়া সবই উনার অবদান।তার পর উনার কবিতা খাতা দেখে কিছু কবিতার অনুকরণ করি।তখন ও বলে ভাল হয়েছে আর এবার নিজে লেখ। তার পর থেকেই নিজের লেখা শুরু।তখন মাঝেমধ্যে লিখতাম। ২০১০ সালে আমাদের একটা ফুটফুটে কন্যা সন্তান জন্ম নেয়। তার আগে থেকেই লেখা আর হয়নি নানা সাংসারিক কারনে তার পর মেয়ের পরিচর্যা নিয়ে ব্যস্ত হয়ে যায়।এখন আবার একটু আধটু লিখছি। এখন আবার মেয়েও বলে মা কবিতা লিখছ আমিও লিখব। আবার কিছু কথা বানিয়ে কবিতা হয়েছে কিনা জানতে চাই।
আমার প্রথম লেখা প্রকাশ হয় উনার পত্রিকায়। সেই সময় আমার একটু আপত্তি ছিল কবিতা প্রকাশ করায় কারন আমার মনে হয়ে ছিল যে সকলে ভাববে উনি লিখে আমার নাম করে প্রকাশ করছে। তবুও প্রকাশ করা হয়। একদিন একজন হাসতে হাসতে বলেই ফেলল যেটা ভয় পাচ্ছিলাম সেটা। মনটা ভেঙে যায়। তখন থেকে “বহ্নিশিখা” ছদ্মনামে লিখতে থাকি।
এই ২মাস হল কবিতার আসরে আমার স্বামীই যোগদান করতে বলে আর আমিও রাজি হয়ে যায়। আমি যে ভাল লিখিনা সেটা আমি নিজেও জানি, তবুও আমার কবিতা লেখার সখ বা ভাললাগা সবই পূরন হবে এই আশায় যোগ দেওয়া।