তোমার পর্বত হতে তুমি এক নদী,
আঁকাবাঁকা পথ ধরে ছুটে চলো নিরবধি।
আপন গতিতে চলার সময় থমকে দাঁড়াও বাঁকেবাঁকে,
অপার সৌন্দর্য মোহনায় যেন তোমার ছলনা লুকিয়ে থাকে।
তুমি শান্ত-স্থির উত্তাল কখনো আবার হও আগ্রাসীনি অধীর,
খুঁজে ফিরি তোমায় আমি জলাঙ্গীর বুকে স্নিগ্ধ করে নীর।
কখনো তুমি সর্বনাশিনী উত্তালিনী অপ্রেমিকা শুভ্র-হাসিনী।
তোমার আপন ধারায় মুগ্ধ আমি, হয়েছি তোমার মোহিনী
বর্ষার পরে ভাদ্র হতে ক্ষণে ক্ষণে হও তুমি পাষাণী
তরঙ্গের আঘাতে ধ্বংসের রূপ আমি কখনোই দেখিনি
চন্দ্রিমা রাতের জোৎস্না ছোঁয়ায় তোমার বুক করে ঝিকমিক
রৌদ্রের পরশে তোমার বুকের বালুচর করে ওঠে চিকচিক
ময়ূরপঙ্খী বেয়ে যায় মাঝি সুর তোলে মৃদুল ছন্দে
অশান্ত হৃদয়ে শান্ত শুশুক করে খেলা মনের আনন্দে
মধুময়ী রূপে পিরিতি শিখালে তৃপ্তি মেলে তোমার জলে,
প্রিয়ার মতো আপন তুমি আমাকে ভাসাও তোমার হিয়াতলে।