সূর্যনানা উঠল রেগে বসুমাকে ধমক দিয়ে,
‘মেয়েটা তোর বড় হলো ভাবছ না যে দিতে বিয়ে!’
রাগল নানা দুপুর বেলা তাই তো ঘেমে সবাই টলে
সাঁঝের ঘোমটা টেনে মায়ে ভাবে, ‘বাবা ঠিকই বলে!’
তৃতীয়ার রাত সন্ধ্যা শেষে চাঁদ-কন্যাকে কাছে ডাকে
সাজন নিয়ে গভীর বনে কন্যা সাজায় কেমন জাঁকে
তেরো রাতের সাজন শেষে পঞ্চদশীর রাত্রি এলে
অপরূপ সে চন্দ্র কনে পূর্ণিমা যে একেই বলে।
‘কিন্তু বাবা পাত্র কোথা?’- নানা শুধায় কেশে হেসে,
‘বৃহস্পতির বড় ছেলে, নাতি আমার নয়তো যে সে!’
বিকেল বেলায় সাজায় নানা রঙে ঢঙে পরিবার তার
মহাকাশটা ছেয়ে ফেলে ঝাড়বাতি ওই সকল তারার।
অনেক নাত এগারো সন্তান চারদিকে আর কতো সজন
রাত দুপুরে বিয়ে হলো কন্যা দান ওই চন্দ্রগ্রহণ
বৃহস্পতি বোনটি মায়ের এখন আবার বিহান হলো
তাই সে মাকে রক্ষা করে থামিয়ে দেয় গ্রহাণু লো।