স্বার্থক কাব্য
আবৃত্তিকারের বলিষ্ট উচ্চারণ
শানিত করে কবিতার পংক্তি,
শব্দের হয় ধ্বনি প্রতিধ্বনি
জীবন্ত হয় কবি ও কবিতা।
হয় আবেগ প্রবন লক্ষ হৃদয়
উচ্চারণেই কখনো কাল জয়,
হয় কবিতার, আবৃত্তিকার
আপন করে, করে উচ্চারণ।
কবি তো কবিতা লিখেই সাড়া
সম্পাদক ছাপবে কি ছাপবে না,
কত ভাবনা পূর্ণ হবে না বাসনা
পাঠক আবৃত্তিকার হাসনা হেনা।
হয় প্রস্ফুটিত কবির প্রতি কথায়
হাজার উচ্চারণে প্রাণ ফিরে পায়,
পাঠকের মূখে ফোটে উঠে অনর্গল
বাধন তো শুধু শিকল পড়ার ছল।
আবৃতি প্রেমকে আরও আবেগময়
করে, হৃদয়ের কাছে হৃদয়ের পরাজয়,
হয়, ভুলে জাত কোল মান অভিমান
হয় বিলিন প্রানে, আর একটি প্রান।
অাবৃত্তির ললিত কন্ঠে কাব্য ভাসে
মুগ্ধ শ্রোতাদের সনে পাখীরাও হাসে,
ফুলের সুভাস ছড়ায় ফুটে বনে বনে
স্বার্থক কাব্য কবি লেখে আনমনে।
কাব্যকে করে তোলে আরও প্রানবন্ত
শব্দের গাঁথুনিকে করে আরও যথার্থ,
আবৃত্তিকার তো যাদুকর নেই জুড়ি
সকলের চেনা আবৃতিকার ’মেরি’।
মোঃ আতাউর রহমান