অক্ষয় অব্যয় তুমি মৃত্যুঞ্জয়ী
হে জাতির জনক তোমার শিক্ষা
পরাভব কি বাঙালি জানে না
কে বলে তুমি নেই সে নির্বোধ
তুমি বাঙালির আগামীর দীক্ষা।
এই বাংলা তোমার সোনার তরী
বেয়ে যায় লাখ-কোটি মাঝি-মাল্লা
বাদলে বদর বলে জয় বাংলা রবে
আকাশে-বাতাসে-অন্তরীক্ষে ধ্বনিত
যে কাব্য রচিলে তুমি মার্চের দিনে
বাঙালির হৃদয়ে দেয় দোলা শিহরণে।
তোমার কাব্যে শব্দের সে কি গাঁথুনি
প্রতিটি বাঙালির অনবদ্য হৃদয় গাঁথা
রচিলে এক অমর কাব্য মার্চের ভাষণ
সেই অগ্নিঝরা দিনে দিলে তো কাপিয়ে
চোখের পলকে বাঙালি যোদ্ধে ঝাপিয়ে
তোমাকে করে ক্ষনিকের তরে অন্তরীণ
সেই বর্বর পাকিস্তানি অসভ্য অর্বাচিন।
বলেছিলে তাই হয়েছিল ঘরে ঘরে দূর্ঘ
করে সকল পথ রুদ্ধ শত্রূ নাস্তানাবোধ
বাঙালি গড়ে তোলে সাহসি প্রতিরোধ
সেই পরাজিত শত্রূ করে আত্ম সমর্পণ
পুলকিত পৃথিবী মানচিত্রে নতুন দেশ
হে জাতির জনক তোমার বাংলাদেশ।
সতের কোটি বাঙালি অতন্দ্র প্রহরী
দৃঢ প্রতিজ্ঞ, তোমার এই ’আমানত’
বাঙালির এক কথা, হবে না খেয়ানত
রাখতে অক্ষত কোটি প্রানের বিনিময়ে
তোমার বাঙালি আজও প্রস্তুত প্রয়োজনে
স্বাধীনতা বিরোধী চক্র ধুলিস্যাৎ করে
তোমার নৌকা চলছে অনাদিকাল চলবে
পদ্মা মেঘনা যমুনা গোমতি মধুমতি ধরে
জয় বাংলা খচিত প্রানের পতাকা উড়িয়ে।