চৈত্রের দুপুর— বাজে রোদের নুপুর— তাপদাহে শহর গ্রাম
খাঁ-খাঁ সারামাঠে আগুনরঙারোদের ঝাঁঝালো সমাবেশ— জ্বলছে অবিরাম!
রোদপোড়া গান মাঠের বুক জুড়ে গাছের ছায়ারা ঝিমাচ্ছে ডালের তলে
হঠাৎ হঠাৎ বিরহের সুরে কোকিলেরা ডেকে ওঠে অদূর ছায়ার কোন বনে।
বন্যরা বনে লুকায় মানুষেরা খোঁজে ছায়া সবকিছু ভুলে দস্যিছেলে ঝাঁপ দেয় জলে
মেয়েরা অবাধ্য— ভাঙে নিষেধের বেড়া; সেসবের ভীড়ে মেঘের প্রার্থনা ওঠে জমে।
চৈত্রের দুপুর— বাংলার তাপদাহ মাস— কেতাবে লেখা হাজার ইতিহাস
আজ সেসব কে আর খোঁজে— ভুলেছে ভুলুক সেসব সবাই— পোড়া মাঠের সবুজ ঘাস
চৈত্রের দুপুরে গান ছিলো আলাদা দহনে, গ্রামের মানুষ সেসবের সুখে
ভুলে যেত জ্বলন ও জ্বালা দুঃখ ঝরে জল নামত দুই চোখে!
চৈত্রের দুপুর— বনের শীতল মায়া থরেথরে কাঁপে ছায়া
বাংলার গাছেরা অবুঝের মতো কাঁপায় সবুজ পাতা
পাতাদের ভীড়ে পাখিদের নীড়— শীতল ছায়ার ঘর খুঁজতে মানুষ অধীর!
চৈত্রের দুপুর— তাপের দুপুর— খোলা মাঠ, বন আর জলাধার আকাঙ্খার ঘর।