পরিবেশ টা খুবই উত্তপ্ত,বাতাসে বারুদের গন্ধ ।
চারিদিকে ধোঁয়া আর ধোঁয়া , চোখ নাক মুখ বন্ধ।
এতো মানুষের বুকে গুলি,
এতো মায়ের কোল খালি।
এতো লাশ আর লাশ, যেন একাত্তরের বদ্ধ ভূমি,
এই যদি হয় স্বাধীনতা, তবে এই স্বাধীনতা চাইনা আমি।
পায়ে পরিয়ে দাও শেকল,
খসে পড়ুক মুখোশের আড়ালের নকল।
যে পিতা এখনো ঘরে বসে আছে, অকুণ্ঠ সমর্থন করে না,
আমি তাকে ঘৃণা করি।
যে মা এখনো স্রষ্টার নিকট এই গণহত্যার বিচার চায়না,
আমি তাকে ঘৃণা করি।
যে বোন ভাই হত্যা কারী দোষীদের বিরুদ্ধে কথা বলে না,
আমি তাকে ঘৃণা করি।
যে ভাই এখনো ঘরে বসে আছে,ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তা করে না,
আমি তাকে ঘৃণা করি।
যে মা,বাবা সন্তানের লাশের উপর হেঁটে অনুদান গ্রহণ করে
আমি তাকে ঘৃণা করি।
যে দেশে আমার ভাই - বোন ও বাবার বুকে গুলি ছুঁড়ে
আমি তাকে ঘৃণা করি।
যে রাজা প্রজার লাশের উপর হেঁটে আনন্দ উল্লাস করে
সে রাজাকে আমি ঘৃণা করি।
এই মৃত্যুপুরী, আমার দেশ না। এই স্বাধীনতা আমার বৃথা।
যে বুদ্ধিজীবী,শিক্ষক, শিক্ষিকা ও কেরানি এখনো নিশ্চুপ,
সেই বুদ্ধিজীবী,শিক্ষক, শিক্ষিকা ও কেরানী কে
আমি ঘৃণা করি।
জ্ঞানী - গুণী, ও বুদ্ধিজীবী, পিতা-মাতাদের বলতে চাই,
আসুন প্রকাশ্যে রাজপথে।
৩০ লক্ষ শহীদের রক্তে স্বাধীন এই দেশ, আমি মানিনা।
স্বাধীনতার তিপ্পান্ন বছর! এই দেশ স্বাধীন ,আমি মানিনা।
এই রক্তাক্ত রাজপথ, ক্যাম্পাস, মাঠ - ঘাট
আমার স্বাধীন দেশ না।
মেয়েদের গায়ে হাত দেয় যারা ,কাপুরুষ তারা,
আমি তাদের পুরুষ মানি না।
পুরুষের সক্ষমতা ও সংজ্ঞা আমায় বুঝাতে হবে না!
প্রকাশ্যে রাজপথে বুলেটের সামনে বুক পেতে দেওয়া
ভাষা শহীদ সালাম,বরকত, রফিক ও জব্বার।
ভাসানী,সোহরাওয়ার্দী,শেখ মুজিব,
শহীদ আবু সাঈদ,মুগ্ধ,দীপ্ত,ওয়াসিম,
ফারহান ফাইয়াজ রা পুরুষ!
আমাকে পুরুষ চেনা তে হবে না, পুরুষের সক্ষমতা ও সংজ্ঞা আমি জানি।
পুরুষ অন্যায়ের বিরুদ্ধে, অনাগত ভবিষ্যতের জন্য,পুরুষ দেশের জন্য বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিতে প্রস্তুত।
আমি পুরুষ চিনি, পুরুষ আর কাপুরুষের পার্থক্য
আমি জানি।
রক্তের নেশায় বুদ হয়ে থাকা শেখ মুজিবের অনুসারী
তুমি, আমি মানি না।
সুশৃঙ্খল,সবুজ শ্যামলা মাঠ,জনসমাগমের আড্ডায় ভরপুর রাস্তা ঘাট, শিশুদের অবাধ চলাফেরা,
আমার কাছে স্বাধীনতা ।
আর কোনো রক্ত ক্ষরণ চাইনা। আর কোনো মায়ের বুক খালি হোক চাইনা।
গণতন্ত্রের দেশে গণতন্ত্রের উপর গুলি চলুক তা
আমি চাইনা।
আমি স্বাধীন দেশে স্বাধীন ভাবে কথা বলতে চাই।
আমি আমার অধিকার ফিরে পেতে চাই।