হয়তো তুমি আমার হবে না,
রোজ সকালে চায়ের কাপ হাতে তোমায় দেখা হবে না।
সকালের নাস্তায় রুটির সাথে গোস্তের ঝোল,
টিফিনের বক্স হাতে তোমায় দেখা হবে না।
অফিসে যাওয়ার সময় ঘরের ভিতর থেকে
খিরকি কেউ লাগাবে না।
মায়ের ফোন ব্যতীত এই ব্যাস্ত শহরে কারো মোবাইলের নম্বর চোঁখের সামনে ভাসবে না।
আধুনিকতার ছোঁয়ায় আমার অস্তিত্ব রোজ মিশে যায়,
এই ভাবে কারো চুম্বন,আলিঙ্গন ছাড়া বেঁচে থাকা দ্বায়।
অফিস থেকে ফিরে ব্যাগের পকেট থেকে চাবি
খুঁজতে হবে রোজ।
অসুখের সময় কেউ জোর করে খাইয়ে দিবে না
ঔষুধের এক ডোজ।
খুব ক্লান্ত হয়ে বাসায় ফিরলে কেউ হয়তো লেবুর
শরবত করে দিবে না।
শ্রাবণের মেঘের মত ফুলে উঠি রাগে-ক্ষোভে বুকের আলিঙ্গন হয়তো কেউ দিবেনা।
মনে হচ্ছে, পৃথিবী থেকে অনেক দূরে,
কোনো ভিনগ্রহে আমার বাস,
যেখানে খুব কষ্টে, কোনো মতে বেঁচে আছি,
নিচ্ছি শ্বাস, শ্বাস নয় দীর্ঘশ্বাস।
অর্থবিত্তের বড়ই অভাব,অদ্ভুদ তাও প্রাচুর্যের ঝোক নেই,
কোনো কিছু নিয়ে অহংকার নেই।
আমি আসলে পুরোনো কোনো বটগাছ,
দাঁড়িয়ে আছি,অনেক বছর ধরে,নেই কোনো কাজ।
মানুষ দেখে কেমন যেন আগের মত এগিয়ে গিয়ে
কর্মদন করতে ভালো লাগেনা।
আগের মত কিছুই আর ভালো লাগেনা।
তুমি ছাড়া বেঁচে আছি, না বাঁচার মত,
তোমায় ঘিরে আমার স্বপ্ন শত শত!