তুমি আছো বলে;
আমার এ ব্যাকুল হিয়ার প্রেম তৃষ্ণা-
আজও জেগে আছে নিরলে।
তুমি আছো বলে;
আমার ভাবনার আকাশটা হয়ে আছে আজও-
ঝর্ণাজলের মতো টলটলে।
তুমি আছো বলে;
আমার বিষাদগুলো শিহরণ করে জানান দেয়-
রয়েছে তারা আজও প্রানবন্ত।
তুমি আছো বলে;
বেদনার নীল জলের অনির্বাণ কল্লোলে-
আজও আমার হৃদয়ের উজান ভেঙ্গে চলেছে অবিরত।
তুমি আছো বলে;
ভালোবাসার লাল গোলাপটি-
আজও অক্ষত রয়েছে আমার মনের ফুল বাগিচায়।
তুমি আছো বলে;
বিস্মৃতিরা চিৎকার করে কেঁদে বেড়ায় আজও-
আমার সব ক’টি প্রেমের কবিতায়
তুমি আছো বলে;
তপ্তশ্বাস বাহিত আমার একপশলা অশ্রু-
আজও বর্ষিত হয় নির্জনতা গ্রথিত প্রতিটি রজনীতে।
তুমি আছো বলে;
নিকোটিনের অনুষঙ্গ নিয়ে-
আমি আজও হেঁটে বেড়াই রৌদ্রদাহের পিচঢালা সরণিতে।
তুমি আছো বলে;
¬আজো আমি বাঁচিয়ে রেখেছি-
আমার এই নক্ষত্রের রূপালি আগুন ঝরা জ্যোৎস্না।
তুমি আছো বলে;
খুব নিশীথে দুঃস্বপ্নেরা-
আজও আমার চোখের ত্রিপলে করে বেড়ায় পদচারণা।
তুমি আছো বলে;
তোমার দিব্য যামিনীর চন্দ্রসুধাময় মুখখানি দেখতে-
আজও আমার দুঃসাহসেরা উদ্যত হয়।
তুমি আছো বলে;
তোমার নামে এই বিরহবিধুর বক্ষমূলে-
আজও রচিত হয়ে যায় আমার রোদন মেশানো সংশয়।
তুমি আছো বলেই হৃদয়েশ্বরী;
আমি আজও হতে চাই-
তোমার অকুণ্ঠ ভালোবাসার একমাত্র সুযোগ্য প্রহরী;
যেই কর্মমাঝে নিরত থেকে নিরন্তর কেটে যাবে-
আমার সারাটা দিনমান আর তন্দ্রা পোড়ানো শর্বরী।
তাইতো, তুমি আছো বলে;
আরো কিছুদিন বেঁচে থাকতে ইচ্ছে হয়-
কোলাহল পৃথিবীর এই মায়াবদ্ধ স্থলে।