শেষপর্যন্ত তাহলে ছেলেটি নিরুদ্দেশ'ই হয়ে গেলো
প্রকৃতিগর্ভ থেকে!

অথচ

ক্ষুদ্র চুরূট হাতে নিয়ে
সে খোঁজেনি নিকোটিনের বিস্ময়,
সে খুঁজেছে একটি বদ্ধসংস্কার
একজীবনে যার চলনভঙ্গি থাকে
তার প্রিয়তমার মুখের বিপরীতে।

চুল-দাড়ি'কে দৈহিক বিস্তারের অধিকার দিয়ে
সে দেখাতে চায়নি পাগলপণা,
সে দেখাতে চেয়েছে একটি শিথিল বাহুর অপ্রতুলতা
যার মৃদুমন্দ পরশের অমৃতসর পুরোটা মাথায় জুড়িয়ে
সে বাস্তবতাকে রুপান্তর করতে পারতো রূপকথায়।

রাত্রিজাগরণ করে সে লুণ্ঠন করতে চায়নি
প্রাতঃকালীন সূর্য উদিত হবার পূর্ব লগ্নের সবটুকু আঁধার,
সে চেয়েছিলো একটি অনুষঙ্গ
যার একচ্ছত্র সংলগ্নতা
তার জাগরণের স্থায়িস্তকে নিরুদ্ধ করে বলতো—
'অনেক হয়েছে, এবার ঘুমাওতো! সকালে আবার তোমার অফিস আছে'

গৃহত্যাগী হয়ে
সে এটা দেখাতে চায়নি যে সে ভ্যাগাবন্ড;
সে দেখাতে চেয়েছে
তার হৃদয়ের লকারের হারিয়ে যাওয়া চাবির শোক;
যা আজ হয়তো অন্যের হৃদয়—
খোলা, বন্ধকরার কাজে ব্যবহৃত হয়।

সে কখনো জানতোই না
সুখ নামের সুবিমল অনুভূতির এন্টোনিমগুলো,
এমনকি শব্দকোষ ঘেঁটেও কখনো তা অন্বেষণ করেনি;
অথচ, শ্রাবণের ঝরাপাতার ন্যায়ে
তার জীবনের এক একটি বিচ্ছেদ তাকে শিখিয়েছে—
বিষাদ, বেদনা, চিত্তক্ষোভ আর গ্লানির মতো
কদর্যরূপ অনুভূতিগুলোর পুঙ্খানুপুঙ্খ সংজ্ঞা।
.
কি আসে যায় তার নিরুদ্দেশ হওয়া না হওয়াতে?
জীবনসীমা অতিক্রম করে
সে'তো ইতিপূর্বেই সমাধিত হয়েছিলো,
হয়তো মৃত্তিকার শরীরে নয়; গোলাপের হৃদয়ে।