প্রিতমা,
দুটি চোখের পটভূমিতে
তুমি নিরন্তর ছিলে নিরুপমা,
আজও কি তাই?
নাকি আজ কেবলই যাতনার অনলে
দগ্ধ একটি হৃদয়ের ধূসর-কালো ছাঁই?
অপ্সরীর বেশে পৃথিবীতে এসেছিলে বলে—
একটি অতৃপ্ত আত্মা
বঞ্চিত হয়েছিলো তার স্বর্গসুখ থেকে।
বিজলির ন্যায়ে জমকালো আভা ছড়িয়েছো বলে—
মূষল ধারে বৃষ্টির মতো
একটি অযুগ্ন যুবক উন্মাদনা দেখিয়েছিলো
অনুরতির কাদাজল মেখে,
আজও কি তার সময়ের হিসাব গচ্ছিত থাকে—
গোলাপ কাঁটার চক্রগতি দেখে?
প্রিতমা,
সোনালি প্রভাতে তুমি ছিলে
তৃণলতার গায়ে সঞ্চারিত হওয়া
সবটুকু শিশিরজলের মতো,
আজও কি তেমনই আছো?
নাকি আজ মধ্যাহ্নের ঝাঁঝালো রোদে
নির্জলা মৃত্তিকার ন্যায়ে
অবিরত হয়ে চলেছো ক্ষত-বিক্ষত?
কোমল দুটি অধর দিয়ে
মাতাল করা হাঁসির তরঙ্গীনিতে
জোয়ার উঠিয়েছিলে বলে
এক নিঃশোষিত নাবিকের
ভালোবাসার নাও ডুবেছিলো
সেই সর্বনাশা সলিলে,
চিত্তচাঞ্চল্যতার প্রণয়কাল ভুলে—
সে'কি আজ সত্যিই ফিরেছে পৃথিবীর কোলাহলে?
প্রিতমা
একটি বিষণ্ণ মনে তুমি অনিবার ছিলে
চন্দ্রসুধাময় রাত্রির মতো রজতনিভ পূর্ণিমা,
আজও কি তাই?
(নাকি আজ শুধুই বিয়োগান্ত নিয়তির মতো
তোমাকে পেয়েও হারাই?)