মেঘমেদুর চোখে আমার— কোন আলোর আভাস দিলে অনিন্দা?
এ আলোর পরশে— মন আমার হয়েছে আজি স্বপ্নপুরীর বাসিন্দা;
সেই পুরীতে তুমি আছো রাজকুমারী হয়ে;
তব মাধুর্যের অমৃতরস ঢেলে যাও মোর হৃদয়ে।
কখনোবা তুমি পুষ্প ফোটাও আমার উষ্ণ অধরে;
লাজুক মুখের একটু আদরে— ঢেকে দাও মোরে স্নেহের নিষিক্ত চাদরে।
অনিন্দা, মনের বেদীতে হয়ে আছো তুমি দেবীরূপি এক অঞ্জনা,
জীবনভ'রে চলছে সেখানে আমার আরতি অর্চনা।
তোমার জন্য কল্পমাঝে অঁচল গড়েছি অনিন্দা,
যেখানে তুমি গাংচিলের মত উড়ে বেড়াও সদা।
তোমার জন্য গাইতে পারি, লিখতে পারি এক পৃথিবী,
তুমিযে আমার বিহান বেলার অংশুমালীর প্রতিচ্ছবি।
তোমায় নিয়ে সঙ্গোপনে বাঁধবো গৃহ অনিন্দা,
সেই গৃহে তুমি টানিয়ে দিও ভালোবাসায় রাঙানো পর্দা।
মনোহরিণী দুটি চোখে তোমার কি মায়া সাজালে অনিন্দা!
সে মায়ার মোহে জাগিয়েছো মোর প্রেমের নিদারুণ ক্ষুদা।
তুমিযে আমার তৃষিত বুকের সঞ্চারিণী অনিন্দা,
তুমি বিহনে আসেনা আমার দিবা-রজনীর পূর্ণতা।

অনিন্দা,
তোমায় জন্য প্রণয়ের কানন— রচেছি আমার অন্তঃস্থলে,
অভিলাষ নিয়ে প্রহর গুনি সেথায় তুমি আসবে বলে;
তুমিকি আসবে সেই কাননে?
তবে'যে আমি পূর্ণ হবো, ব্যাকুল হৃদয়ের তৃষ্ণা জুড়াবো;
মাধবীফুলের মালিকা গেঁথে— দেবো তোমার খোঁপায় বেঁধে,
অজস্র প্রেমে আবেশিত চোখে— তোমাতে চেয়ে রবো।