আকাশ থেকে মুষলধারে বৃষ্টি নামে
বর্ষায় ভিজতে ঘর থেকে বের হয়ে আসে ছেলে-বুড়ো সব।
বৃষ্টি নামে মাটির পৃথিবীর বুকেও;
এখানে মেঘ আসে কালো কিংবা নীল জিপে চড়ে—
বন্দুক নামক লম্বা যন্ত্রের উপর ভর করে ভেসে বেড়ায় দিগ্বিদিক।
বৃষ্টির স্নিগ্ধতা ভিজিয়ে দিয়ে যায় ঘরছাড়া তৃষিত প্রাণগুলোকে
গড়িয়ে পড়ে মাথার খুলি-বুক-হাত-পা বেয়ে,
একসময় মুখ থুবড়ে লুটিয়ে পড়ে মাটির বুকে—
লাল রঙে রঞ্জিত হয় পৃথিবীর জমিন—
মাটির সোঁদা গন্ধ মুছে যায় তিক্ততায়।
তারা তো প্রশান্তির বৃষ্টিতে ভিজতে চেয়েছিলো—
লুটিয়ে পড়তে তো চায় নি!
রাইফেলগুলো বিদ্রুপের হাসি হাসে ক্ষণিকের জন্য
এরপর আবার নতুন উদ্যোমে শুরু করে বর্ষণ—
নতুন করে আবার কাউকে ভেজাতে।