তোমার কল্পনায় এসে এখন আর স্বপ্নগুলো ছুঁয়ে দেখি না
আঁচড় কাটি না বাস্তবের কোন ক্ষুদ্র আঙিনাতেও।
ভাবছো বদলে গেছি আমি!
না- এতটুকুও বদলাইনি।
শুধু চুপ থাকতে শিখে গেছি–
নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছি, গুছিয়ে নিয়েছি খুব করে।

তবুও—
ক্ষণে ক্ষণে মনে হয় বুকের নিঃশ্বাসগুলো সব একত্রিত করে
একটু একটু করে ভেঙে ফেলি সুবহে সাদিকের আস্তরণ,
জানিয়ে দিয়ে যাই যে আমিও ফেলনা নই কারও কাছে–
কিংবা কে জানে হয়তো তোমার কাছেও না;
পোস্টবক্সের ধুলোর স্তুপে জমা হওয়া বেনামি পত্রগুলো তার সাক্ষ্য রেখে যায় প্রতিনিয়ত।

কিন্তু–
এভাবে আর কতদিন?
সময় তার সীমা ছাড়িয়ে মহাকাল পেরোবে,
হঠাৎ করে কফিনের কবাটগুলো দীর্ঘশ্বাস‌‌ ফেলতে শুরু করবে,
ছিন্ন-ভিন্ন হবে কাফনে মোড়া রক্তাক্ত সোনালী কাবিন–
প্রত্যেক শিরা-উপশিরায় ছড়িয়ে পড়বে বারুদের স্ফুলিঙ্গ,
প্রতিটি রক্তকণায় ছড়িয়ে যাবে দাবানলের‌ আগুন,
পারবে সেদিন আটকে রাখতে চোখের কোণার ঐ তীব্র বিস্ফোরণ!
তোমার তো‌ আবার অভিমান খুব!!!