রৌদ্রোজ্জ্বল সেই চৈত্রের দুপুরে,
আগুন ফোঁটে যেন নদী আর পুকুরে;
প্রকৃতি দেখায় তার রুদ্র রূপ,
একরাশ নিস্তব্ধতা নিয়ে,চারিদিক চুপ।
চৈত্রের দুপুরে জীবদের অসুবিধা ভীষণ!
মুচকী হেসে সূর্য তখন করে অগ্নিবর্ষণ।
ঝিমঝিম মাথা ধরে,চোখে লাগে নেশা,
হাড্ডিসার ও নিস্তেজ করাই যেন,চৈত্রের পেশা;
মাঠ পুড়ে ফুটিফাটা,ফসল হয় ক্ষুন্ন,
তৃষ্ণা ভরা সর্বত্র,প্রকৃতি জলশূণ্য।
পানির মাঝে দাপাদাপি,সুখ বুঝি স্নানেতে!
ছেলে বুড়ো ভীড় জমায় একহাটু পানিতে।
ক্লান্ত ঘর্মাক্ত শরীর নিয়ে ফিরে বাড়ী কৃষক,
রমণীদেরও সুখ নেই,আছে দুর্ভোগ।
ঊনুনেতে রান্না,শিশু করে কান্না,পাখা নাড়ে সারাক্ষণ,
গরমেতে জ্বলে যায়,তবু নাহি বিশ্রাম পায়,অতীষ্ট হয় যে জীবন।
কোকিলের কুহু কুহু মিষ্টি সেই গান!
গাছের ছায়ায় বসে দক্ষিণা বাতাসে,ভরে যায় প্রাণ;
নদীর তীরে সেই বাঙ্গী,ফুটি-তরমুজ,
গলা ভিজলেই মনে হয়,পেয়েছে রাজার ভোজ।
বুক ভরা আশায় বসে,নাহি দক্ষিণা বাতাস পায়,
সূর্যের কাছে হার মেনে মানুষ শুধু কাতরায়!
নরকের আগুন বুঝি,চৈত্রতে ঝরে,
স্বর্গের সুখ পেত,যদি বৃষ্টি পড়ে।