আষাঢ় শ্রাবন
গগন সাজে
মেঘে মগন
কাজল কাযে।
সদা বাজায়
মেঘের ঢুলি ঢাক।

বৃষ্টি মেয়ে
নুপূর পায়ে
রিমঝিমিয়ে
শহর গাঁয়ে।
নৃত্য করে
জাগায় পথের পাঁক।

আকাশ জুড়ে
বিজলী বালা
চাবুক ছুড়ে
আলোক উজালা।
ক্ষনপ্রভা লেগে
ভীমরতি খায় চোখ।

বনবাদাড়ে কেয়া
কলমি কদম ফুটি
সমীরে সুরভি খেয়া
হাসে তিতিয়া কুটিকুটি।
পাতিহাঁস রাজহাঁস
ভাসে আকাশে সাদা বক।

নদী ভরো ভরো
জলাশয় খাল বিল
ছুটছে খরতোর
আনন্দ অনাবিল।
গাঙে ভাসিয়ে নাও
মাঝি গায় ভাটিয়ালী গান।

কখনো প্রবল ধারা
ঝরে অঝরে
কাজ ছাড়া মুজুরেরা
অলস ঘরে।
ফুলে ফেপে নদী
আবার ডেকে আনে বান।

বর্ষার বর্ষনে
বধূরা বুনে নকশীকাথা
পথিক জনে জনে
নিয়ে মাথায় ছাতা।
কর্দমাক্ত পথে
হেটে যায় হাটুরে হাট।

কৃষাণের কর্ষণে
মাঠে মাঠে কাজ
নতুন শস্য বুনে
জেলে ধরে মাছ।
রংধনু রাঙ্গানো
সবুজ আউশের মাঠ।
       ------------