শরীরের প্রতিটি রক্তকণার সশস্ত্র বিক্ষোভে নিদারুণ অসহায় আমি,
মিছিলে-মিটিংয়ে উত্তপ্ত হৃদয়ের রাজপথ!
ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র প্রতিটি দেহকোষ শ্লোগান তুলেছে, ‘তোমাকে চাই! তোমাকে চাই!’
এই উত্তপ্ত মরুর পৃথিবীতে চাইলেই যে সব পাওয়া যায়না- এটা কে বুঝাবে তাদের!
বলো কে বুঝাবে!!
ওদের বলে দিব তুমি চাওনা আমায়?
এই প্রতিটি রক্তকণা কিংবা ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র দেহকোষের সশস্ত্র অভ্যুত্থানে যদি মাটিতে মিশে যাই- ভালো থাকবে তুমি?
ভালোবাসার মানে যদি প্রেয়সীর ভালো থাকা হয়, তোমায় ভালো রাখতে চাই,
ভালোবাসতে চাই!
এই মাঝ রাতের নিস্তব্ধতায় বৈদ্যুতিক পাখার শা শা আওয়াজ সাক্ষী-
এই অন্ধকার পৃথিবী তুমি ছাড়া কত অন্ধকার!
এই কোলাহল, এত আড়ম্বরতা তুমি ছাড়া কতটা নীরব, কতটা শূন্য!-
নিরব সাক্ষী এই মাথার নিচের ভেজা বালিশ!
কী এমন ক্ষতি, তুমি আমার হলে?
কী এমন ওলট পালট হয়ে যাবে ভালোবাসলে?
যদি ভালো না বাসো,
যদি হৃদয়ের সাথে না বাঁধো হৃদয়,
আকাশে পাড়ি দেবো- আকাশ তো ভালোবাসো?
দেখো পিঠের নিচের ছাড়পোকা সাক্ষী,
শরীরের প্রতিটি পশমের আন্দোলন,
‘তোমাকে চাই! তোমাকে চাই!
মিছিলে মিছিলে সাড়া পড়ে গেছে হৃদয়ে-
‘তোমাকে চাই! তোমাকে চাই!’