কে তুমি হরিণী?
এমন সুবিন্যস্ত এলো কেশ, কণ্ঠনালির ভাজ-
স্কোপোলামিনের মতো বশে নিল এত সহজে!
রুক্ষ পাহাড়ের মতো এত উঁচু ব্যক্তিত্বের কঠিন দেয়াল ধসিয়ে দিলে চোখের পলকে
জাদুর কাঠির মতো, এতো আবেশ! আহা!
কে তুমি মায়াবিনী?
প্রসূতি স্ত্রীর মতো এমন গভীর চোখ, এত মায়া-
এমন উন্নত অধর, সতেজ লোভনীয় ফলের মতো-
কী আছে এই ঠোঁটে, ছুঁয়ে দিতে এত উদগ্রীব হৃদয়
এমন তো হয়নি কখনও।
আহা, নিঃশব্দে কী বাঁশি শুধালে অমন আনমনে-
দুচোখের ঘুম কেড়ে নিলে অনায়াসে!
কে তুমি হরিণী-
এমন মায়াভরা কণ্ঠে ডাকো সারাক্ষণ?
এত দূর থেকে, কী করে ছুঁয়ে দিলে হৃদয়
কী করে দখলে নিলে মনের আয়নাখানি?
আহা! কী জাদু এই চোখে, কী জাদু এই বুকে?