আমাদের এইদিন,
এইসব হীরেয় মোড়ানো ক্ষণ,
ফিরে আসুক চরাচরে, বহুদিন-বহুবার৷
এই যে আত্মার গলাগলি, প্রাণে প্রাণের গল্প
ভায়োলিনের বেসুরো সুর, অকৃত্রিম হাসি,
এই যে কাঁধে হাত রাখার ইতিহাস, কথায় হারানোর যুদ্ধ
ফিরে আসুক।
এই যে ধুম্র ছাঁকনির বহুগামিতা,
আদা-পুদিনা চা’র প্রকট গন্ধ কিংবা রুপালী স্বপ্নের গল্প।
এই তীব্র জঞ্জাল সাঁতরে স্বচ্ছ জলে ফেরার ইচ্ছে
পানির বোতল নিয়ে দর কষাকষি-
ফিরে আসুক প্রতিদিন, প্রতিবার।
আমাদের গল্পেরা ফিরে আসুক এই পিচঢালা সড়কে।
এই ইটের মানচিত্র, ধূলি কনা কিংবা পয়ঃপ্রণালীর আহ্বান;
ডজনখানেক ক্ষুধার্তের মুখে একটি সিঙ্গারার আর্তনাদ,
গুরুজির নিকৃষ্টতর উপাধি আর পুলসিরাতের গল্প
ফিরে আসুক এই আঙ্গিনায়।
৫ পঁয়সা বাঁচাতে ৫ কিলোমিটার হাঁটা;
যাত্রাবিরতিতে ১০ পয়সা খরচের এই গল্প,
লালে-নীলে হাবুডুবু কিংবা
পড়শীর আঁচল ছুঁতে চাওয়ার এই দিন ফিরে আসুক।
তাল লয় আর মাত্রার ব্যাকরণ ফেলে
গলা ছেড়ে ‘আমি পাখির মতো’ গাওয়ার এই দিন
আমাদের অমুক-তমুক গ্রুপের দ্বন্দ্ব;
মান-অভিমান, অভিযোগের ফুলঝুরি-
প্লিজ! ফিরে আসুক একদিন।
খুব ভোরে ঘুমের উমের মায়ার বিচ্ছেদ
গুরুজির ঝাড়ির দুঃস্বপ্ন,
যোগ-বিয়োগের নানা হিসেবে নিকেষ-
আজকের পর, এই দীনতা কেটে গেলে,
বিত্তবৈভবে মজে গেলে-
আবার আসুক একদিন।
আমাদের এই পদচারণা, এই এখনকার তুচ্ছ সময়,
এই সুখ-দুঃখের সিম্পনী
ফিরে আসুক চরাচরে, বহুদিন-বহুবার৷