তোমার প্রেমে কেনইবা পড়তে গেলাম?
এই শহরের প্রতিটি ইটপাথর আজ সাক্ষী,
আমি হারিয়ে গেছি এক অলিখিত গল্পের ভেতর।
সেই গল্পে বিকেলের রোদ ছিল,
ছিল নরম বাতাসে দুলে ওঠা শিউলি গাছ,
ছিল কিছু ফেলে আসা শব্দ,
আর এক মায়াবী বিভ্রম— তোমার চোখ।
তোমার প্রেমে কেনইবা পড়তে গেলাম?
জানতে পারিনি, ভালোবাসা আসলে
একটা দীর্ঘশ্বাসের মতো—
যা বুকের ভেতর থেকে বের হয়,
কিন্তু শেষ পর্যন্ত পৌঁছায় না কারও কানে।
তুমি চলে যাওয়ার পর থেকে
আমি খুঁজে বেড়াই সেই শেষ শব্দটুকু,
যা তোমার ঠোঁটের কিনারায় আটকে ছিল।
তোমার প্রেমে কেনইবা পড়তে গেলাম?
শহরের সব রাস্তা আমার জানা,
সবচেয়ে নির্জন বেঞ্চটার ঠিকানা মুখস্থ,
আমি জানি কোন সন্ধ্যায় সবচেয়ে কম আলো থাকে,
কোন বিকেল নিঃসঙ্গতার জন্য উপযুক্ত।
আমি জানি, প্রেমে পড়ার মানে
একটা ধুলো জমা নোটবুক,
যার পাতায় পাতায় শুধু ফেলে আসা নাম।
তোমার প্রেমে কেনইবা পড়তে গেলাম?
তুমি কি জানো, একাকীত্বেরও শব্দ হয়?
গভীর রাতে দেয়ালে ছায়া পড়ে,
ঘরের কোণে পড়ে থাকা বইয়ের পাতা উল্টে যায়,
একটা খোলা জানালা হঠাৎ কেঁপে ওঠে—
আর আমি মনে মনে তোমাকে ডাকি,
তুমি শুনতে পাও না।
তোমার প্রেমে কেনইবা পড়তে গেলাম?
জীবনের প্রতিটি সন্ধ্যায় আমি তোমাকে খুঁজি,
একটা অদৃশ্য ছায়া হয়ে তুমি পাশে বসো,
আমি তোমার মুখ ছুঁতে চাই, পারি না।
ভালোবাসা, হারিয়ে যাওয়ার আগেই বুঝতে হয়—
আমি বুঝতে পারিনি।
তাই প্রতিটি রাতে,
আমার নিঃশ্বাসের ভেতর
তুমি বেঁচে থাকো, অথচ নেই।