রাতের আঁধারে শূন্যতা বাজে,
নক্ষত্রের মতো জ্বলতে চায় মন,
তবু অদৃশ্য এক আহ্বান টানে—
চলো, ফিরে যাই অসীম প্রাঙ্গণ।
শহরের কোলাহল, রক্তাক্ত মাটি,
স্লোগানের ভাষা এখনো রক্তমাখা,
কিন্তু কোথায় সেই চিরন্তন ডাকে—
যে ডাকে ফিরে পেতে নিজেকে আবার?
আমি তো পথিক, একা একা হাঁটি,
গোধূলির রঙে মিশে যাই ধীরে,
নদীর কল্লোল, বাতাসের বাঁশি—
ডাকে আমায় কোনো মসজিদের চূড়ায়।
সেই যে মেঘে ঢাকা অনন্ত দিগন্ত,
যেখানে জ্যোতি এক শাশ্বত বয়ান,
সেখানে শুধু প্রেম, সেখানে আলোর গান,
সেখানে লুকানো চিরমুক্তি প্রাণ।
হে নগর, হে বিষাদ, হে অন্তহীন ক্লান্তি,
আমি ফিরে যাবো, সেই শুদ্ধ ঘ্রাণে,
যেখানে বৃষ্টি নামে রহমতের ছোঁয়ায়,
যেখানে অন্তর কাঁদে সৃষ্টির টানে।
কতদিন আর মরীচিকার পিছে?
কতদিন আর দুঃখের অন্ধকার?
জীবন তো স্রোত, দুঃখ তার তরঙ্গ,
আমি চাই প্রেম—অবিনাশী আলো।
সেদিন কি আসবে, যখন এ মন
খুঁজে পাবে শান্তির এক টুকরো ঘর?
যেখানে রাত শুধু সজল ইবাদত,
যেখানে ভোর এক খোদার প্রণয়?
শুনেছি—তাঁর দরজা কখনো বন্ধ নয়,
তাঁর মায়া সাগর নিরবধি ঢেউ,
সেই স্রোতে ভেসে যেতে চাই আমি,
হারিয়ে যেতে চাই তাঁর প্রেমের বুকে।
হয়তো এই দুনিয়া আমার নয় আর,
নিশীথের বাতাসে বিলীন হবে প্রাণ,
তবু রয়ে যাবে সেই প্রেমের ছোঁয়া—
যেখানে লুকিয়ে আছে মুক্তির গান।