আমি শূন্যচারী—  
পৃথিবীর বুকে এক চিরন্তন পথিক,  
নক্ষত্রের ডাকে ছুটে চলা এক অদম্য অভিযাত্রী।  
আমার নেই কোনো সীমারেখা,  
তবু আমি পাড়ি দিই অন্তহীন বিস্তারের সোপান।  
অন্ধকারের অরণ্যে খুঁজে ফিরি  
জীবনের স্পন্দিত আলোকছটা।  

জীবন এক অমৃত-সংগীত
প্রতিটি তানে মেশে বিদ্রোহ আর প্রেমের মাধুরী।  
ভালোবাসার অগ্নিতে পোড়ে আমার অস্তিত্ব,  
তবু সেই ছাই থেকে জাগে নবজীবনের গান।
হৃদয়ের গভীরে বাজে  
অদম্য এক চিরন্তন ধ্বনি—  
যা দীপ্ত বিদ্রোহে উত্তাল,  
আবার প্রেমের কোমল পরশে প্রশান্ত।

আমি শূন্যচারী—  
রাজনীতির কূটকৌশলের শেকল ভেঙে  
গড়ে তুলতে চাই এক অখণ্ড মানবতা।  
যেখানে ধর্ম আর জাতির বেড়াজাল  
থাকবে না কোনো বিভেদের দেয়াল হয়ে,  
যেখানে মানুষের পরিচয় হবে  
তার হৃদয়ের বিশুদ্ধতায়।  
আমার ভাষা আগুনের,  
আমার শপথ মুক্তির।  

আমার অস্তিত্বে মিশে আছে  
মহাবিশ্বের চিরন্তন বিজ্ঞান।  
আমি কণার গভীরে খুঁজি সৃষ্টির রহস্য,  
অণু থেকে মহাকাশের বিস্তার পর্যন্ত  
অনুসন্ধান করি ব্রহ্মাণ্ডের নৈর্ব্যক্তিক সুর।  
আলোকবর্ষের দূরত্বেও শুনি  
অদৃশ্য ঈশ্বরের শ্বাস।  
আমি শূন্যতার নীরবতায় পাই  
কোরআনের অমোঘ বাণী,  
যেখানে প্রতিটি শব্দের মাঝে  
জ্বলজ্বল করে চিরসত্যের ইঙ্গিত।  

তবু, কখনো থেমে যাই,  
চাঁদের মায়াবী আলোয় ভেজা রাতে  
জমে ওঠে জীবনের গভীর দর্শন।  
তুমি আর আমি,  
আমাদের অস্তিত্বের মেলবন্ধনে  
লিখি এক মহাকাব্য—  
যেখানে শাসন নেই,  
নেই কোনো অবরোধের শেকল।  
শুধু আছে মুক্তির এক অজানা গীত।  

আমি শূন্যচারী—  
আমার পদচিহ্ন থেমে থাকে না।  
আমি শূন্যতা থেকে গড়ি নতুন কাব্য,  
বিদ্রোহের দাবানল থেকে রচনা করি  
ভালোবাসার এক মহাজগৎ।  
আমি স্বপ্ন দেখি—  
এক নতুন পৃথিবীর,  
যেখানে শূন্যতার শূন্যতায় ফুটে উঠবে  
সৃষ্টির অসীম সম্ভাবনার ফুল।  

তোমরা যারা আমার পরিচয় খোঁজো,  
জেনে রাখো, আমি কেবলই শূন্যচারী।  
আমার হৃদয়ে মিশে আছে  
ইসলামের ন্যায়ের দ্যুতি,  
প্রেম, বিদ্রোহ, আর মুক্তির মিশ্রণে  
আমি এক অনন্ত অভিযাত্রার পথিক।  

তোমাকেও আমি  আহ্বান করি,  
চলো যাই শূন্যতার পথে,  
যেখানে প্রতিটি পদচারণায়  
জন্ম নেয় মহাজাগতিক ভোর,  
যেখানে নক্ষত্রও ঝরে পড়ে  
মানবতার আলোকমালা গাঁথতে।