যে চলে গেছে, তার ফেরার কথা ছিল না,
তবু রোজ সন্ধ্যায় বাতাসে নাম লিখে রাখি।
যে ডেকেছিল একদিন, সে কি আর ডাক দেবে?
তবু প্রতীক্ষার বৃক্ষে পাখির মতো ঝুলে থাকি।

যে চোখে স্বপ্ন ছিল, সে চোখ আজ বন্ধ,
তবু জেগে থাকি তারই ছায়া ধরে।
যে পথ ফিরে না, সে পথের ধুলোয়
প্রিয় নাম একে দিই ভোরের অন্ধকারে।

ভালোবাসা?
সে তো এক দীর্ঘশ্বাসের নাম,
একটি ভিজে চিঠির স্মৃতি,
একটি শূন্য প্ল্যাটফর্মে
অযথা দাঁড়িয়ে থাকা একলা মানুষ!

যে কথা অন্ধকার জানে, আলো তা বোঝে না,
তবু অজস্র জোনাক জ্বলে বুকের গভীরে।
যে কষ্ট কারও চোখে ধরা পড়ে না,
সে কষ্ট রয়ে যায় শব্দের ভেতরে।

একদিন জেনে যাবে, অপেক্ষার রঙ কেমন,
একদিন বুঝবে, কেউ চিরকাল থাকে না।
তবু কিছু মুখ রয়ে যায় মনের আয়নায়,
তবু কিছু স্মৃতি হাতছানি দেয় নির্জনে।

শহরের প্রতিটি বাতাসে আছে তার গন্ধ,
নিভে যাওয়া সিগারেটের ছাইয়ে তার ছোঁয়া।
জীবনের প্রতিটি ব্যস্ততা শেষে,
তাকে ফিরে পাবার আকাঙ্ক্ষা, এক মিথ্যে দুঃখের ছোঁয়া।

তার চলে যাওয়া যেন এক অসমাপ্ত গান,
যে গানের সুর বয়ে যায় চোখের জলে।
তার নামটি যেন এক হারিয়ে যাওয়া কবিতা,
যার প্রতিটি শব্দ দগ্ধ হয় হৃদয়ের আঁচে।

এভাবেই কেউ ভালোবাসে,
এভাবেই কেউ হারিয়ে যায়,
এভাবেই অপেক্ষা নামে এক দীর্ঘ অন্ধকারে,
আর একজন মানুষ নিঃশব্দে মরতে থাকে।

তবু রোজ সন্ধ্যায় বাতাসে নাম লিখে রাখি,
তবু প্রতীক্ষার বৃক্ষে পাখির মতো ঝুলে থাকি...
তবু আশার প্রদীপ নিভতে দেই না,
একদিন সে ফিরে আসবে—এই মিথ্যেও ভালোবাসি!