নিষিদ্ধ করো!
এই আঁধার, এই রক্ত, এই মৃত্যুর মিছিল
এই প্রতারণা, এই লুটপাট, এই হানাদারি—
নিষিদ্ধ করো!
এই সভ্যতার নামের প্রতারণা,
এই গণতন্ত্রের মুখোশপরা শকুনেরা
যারা রক্ত চুষে খায়,
যারা ইতিহাসকে ছিঁড়ে খায়,
যারা প্রতিরাত গণভবনে আগুন জ্বালে,
এই পাপিষ্ঠদের নিষিদ্ধ করো!
নিষিদ্ধ করো সেই হাত,
যে হাত ১৩-র রক্তে ভিজে ছিল,
যে হাত ২০২৪-এর লাশের হিসাব জানে না,
যে হাত পিলখানার বধ্যভূমিতে হাসতে জানে!
এই দল, এই দুঃশাসন, এই গুমের রাজনীতি,
এই রাবার বুলেট, এই লাশের সারি,
এই জন্ম-জন্মান্তরের বিষ—
নিষিদ্ধ করো!
যতদিন বাতাসে ঘুরে বেড়াবে গুলির শব্দ,
যতদিন গুমের কান্না জমে থাকবে দেয়ালে,
যতদিন শকুনেরা গণভবনে গান গাইবে,
ততদিন এই জনপদ মুক্ত নয়।
আমি মুক্তি চাই,
আমি স্বপ্ন চাই,
আমি চাই এক সুবাতাসের ভোর—
যেখানে থাকবে না একদল পিশাচ,
যেখানে থাকবে না কুৎসিত দলীয় পতাকা।
নিষিদ্ধ করো!
এই তাণ্ডব, এই বিভীষিকা, এই হত্যার রাজনীতি—
নিষিদ্ধ করো, চিরতরে!
নিষিদ্ধ করো এই নষ্টের ফানুস,
যে ফানুসের আলোয় পোড়ে শত শত স্বপ্ন।
নিষিদ্ধ করো সেই মঞ্চ,
যেখানে বিচারহীনতার গান গাওয়া হয়,
যেখানে ক্ষমতার লোভে বিক্রি হয় আত্মা!
নিষিদ্ধ করো সেই শপথ,
যেখানে শপথের নামে লেখা হয় গোপন চুক্তি,
যেখানে মানুষের রক্ত দিয়ে মোছা হয় কলঙ্ক!
নিষিদ্ধ করো সেই মন্ত্রীসভা,
যেখানে দুর্নীতি ভাগ করে খায় হায়েনারা,
যেখানে মানুষের ভোট হয় বন্দুকের নল!
এই জমিন কি লাশের জন্য বানানো?
এই আকাশ কি শুধুই ধোঁয়ায় ভরবে?
এই বাতাস কি শুধু লাশের গন্ধ বয়ে আনবে?
তবে কেন বারবার আমরা চুপ থাকি?
কেন শকুনেরা উড়ে বেড়ায় বুকের ভেতর?
এখানে আর কোনো হাসিনা চলবে না,
এখানে আর কোনো খুনি চলবে না,
এখানে শুধু বিপ্লব চলবে, মুক্তির গান চলবে!
নিষিদ্ধ করো ভয়,
নিষিদ্ধ করো আপোষ,
নিষিদ্ধ করো দুঃশাসনের দানবীয় ছায়া!
একবার যদি পথে নামো,
একবার যদি শিকল ভাঙো,
একবার যদি বলো— "আর না!"
তবে এই আগুনে পুড়ে ছাই হবে সকল স্বৈরাচার!
এবার লড়াই হবে—
এবার গণভবনের দেয়ালে রক্তলিপি লেখা হবে—
এবার বিপ্লবের আগুনে পুড়বে সব মিথ্যে ইতিহাস,
সব পাপ, সব প্রতারণা!
নিষিদ্ধ করো!
এই অপশাসন, এই রক্তপিপাসু চক্র,
এই দেশবিক্রির নষ্ট চুক্তি—
নিষিদ্ধ করো, চিরতরে!