তোমাকে দেখলে মনে হয়,  
তুমি যেন ফিজিক্সের কোনো অসমাপ্ত সূত্র।  
তোমার চোখের তারায় লুকিয়ে আছে আলোর প্রতিসরণ,  
যেন হাইজেনবার্গের অনিশ্চয়তা সূত্র আমাকে বলে দেয়,  
আমি তোমার গতি বুঝতে পারি, কিন্তু অবস্থান নয়।  

তোমার হাসিটা ঠিক শৈত্য তরঙ্গের মতো—  
যা হিমায়িত করে দেয় আমার সমস্ত চিন্তার সার্কিট।  
তুমি কি জানো, তুমি আমার হৃদয়ের নিউক্লিয়াস?  
আমি ইলেকট্রনের মতো তোমাকে কেন্দ্র করেই ঘুরি,  
যেমন কোনো পরমাণুতে ঘোরে চার্জের প্রেমময় স্পন্দন।  

তুমি আমার ডিএনএ-এর ডাবল হেলিক্স।  
তোমার উপস্থিতি যেন আমার জিনের প্রতিটি ক্রোমোজোমে ছাপ ফেলে যায়।  
তোমার স্পর্শে আমার শরীরের সেলগুলো মাইটোসিসে বিভাজিত হয়,  
আর প্রতিটি কোষের নিউক্লিয়াসে তোমার স্মৃতি জমা হয়।  

তোমার কণ্ঠস্বর শোনার পর মনে হয়,  
বিগ ব্যাং আবার ঘটেছে আমার ভেতরে।  
একটা মহাজাগতিক বিস্ফোরণ,  
যা আমার সমস্ত চিন্তাকে নিয়ে ছড়িয়ে দেয়,  
অসংখ্য গ্যালাক্সির মতো।  
তুমি সেই মহাবিশ্ব, যার প্রতিটি গ্রহে  
আমি ঘর বাঁধতে চাই।  

তুমি আমার চুলের ঢেউ দেখে মনে হয়,  
ওগুলো যেন কোয়ান্টাম ফিল্ডের ঢেউ,  
যেখানে প্রতিটি কণা প্রেমময়,  
যেখানে প্রতিটি তরঙ্গ আমাকে স্পর্শ করে।  
তুমি কি জানো, তোমার উপস্থিতি  
আমার হৃদয়ের গ্রাভিটি বাড়িয়ে দেয়?  

তুমি আমার জৈব যৌগের অনু।  
তোমার ভালোবাসা আমার রক্তের হিমোগ্লোবিনে মিশে যায়,  
আর প্রতিটি শ্বাসে আমার শরীরের অক্সিজেন হয়ে  
তোমার নাম বয়ে বেড়াই।  
তুমি আমার প্রোটিনের অ্যামিনো এসিড,  
তোমাকে ছাড়া আমার শরীরের কাঠামো ভেঙে পড়ে।  

তুমি আমার রাসায়নিক বিক্রিয়ার অনুঘটক।  
তোমার একটুখানি স্পর্শেই  
আমার সমস্ত নিউরন জ্বলে ওঠে,  
যেন ইলেকট্রনের উত্তেজনায় আলোর সৃষ্টি।  
তোমার সান্নিধ্যে এলে মনে হয়,  
আমি প্ল্যানক-এর ধ্রুবকের মতো ক্ষুদ্র,  
আর তুমি বিশাল কোনো নক্ষত্র,  
যার আলোয় আমি আলোকিত।  

তুমি আমার হৃদয়ের মাইটোকন্ড্রিয়া।  
তোমার ভালোবাসাই আমাকে শক্তি দেয় বেঁচে থাকার।  
তোমার প্রতিটি শব্দ যেন বায়োলজিকাল সিগনাল,  
যা আমার স্নায়ুতন্ত্রে বৈদ্যুতিক স্পন্দনের মতো ছড়িয়ে পড়ে।  
তোমার অভিমান হলে, আমার ইমিউন সিস্টেম দুর্বল হয়ে যায়।  
তুমি ছাড়া, আমি এক টুকরো মৃত কোষ।  

আমাদের মাঝে রয়েছে সমীকরণের এক সূক্ষ্ম লাইন,  
যেমন ঈশ্বরের সৃষ্টি এবং বিজ্ঞানের সূত্রের মাঝে থাকে।  
তুমি যদি রাসায়নিক হও, তবে আমি হব তোমার সমীকরণ।  
তোমার সাথে আমার প্রেমটাই যেন—  
পানি-এর মতো বিশুদ্ধ এক উপাদান।  

তুমি কি জানো?,  
তোমার ছোঁয়া আমাকে এক্সপোনেনশিয়াল গ্রাফের মতো  
উচ্চতায় নিয়ে যায়,  
যেখানে কোনো সীমা নেই?  
তুমি আমার শূন্য এবং অসীম—  
তোমাকে ছাড়া আমি অপূর্ণ,  
আর তোমার সঙ্গেই আমার পরিপূর্ণতা।  

তোমার প্রতি আমার আকর্ষণ নিউটনের চতুর্থ সূত্র,  
যা এখনো পৃথিবীর কোনো বিজ্ঞানী আবিষ্কার করেনি।  
তোমার প্রতিটি শ্বাস যেন বাতাসে ছড়িয়ে দেয়  
কার্বন ডাই অক্সাইড আর অক্সিজেনের প্রেম,  
যেখানে আমি নিশ্বাস নিতে নিতে  
তোমার অস্তিত্ব মিশিয়ে ফেলি আমার ভেতরে।  

তুমি বলেছিলে,  
“বিজ্ঞান সবকিছু ব্যাখ্যা করতে পারে।”  
কিন্তু তুমি কি জানো?  
আমার প্রেমের তীব্রতাকে ব্যাখ্যা করার মতো  
কোনো সূত্র এখনো লেখা হয়নি।  
আমাদের প্রেম হলো একটি অসমাপ্ত তত্ত্ব,  
যা শুধু আমাদের হৃদয়ে লেখা থাকে।  

তুমি যদি নক্ষত্র হও,  
তাহলে আমি হব তোমার কক্ষপথ।  
তোমার চারপাশে ঘুরতেই আমার সমস্ত অস্তিত্ব,  
যেমন পৃথিবী ঘোরে সূর্যের চারপাশে।  
তোমার ভালোবাসার মহাজাগতিক শক্তি আমাকে বলে দেয়—  
এটি শুধু বিজ্ঞানের খেলা নয়,  
এটি এক অনন্ত প্রেমের সমীকরণ।  

তুমি আমার গ্যালাক্সির কেন্দ্রস্থল।  
তোমার মহাজাগতিক আকর্ষণে আমি ছুটে যাই আলোর গতিতে।  
তোমার প্রতিটি স্পর্শ, প্রতিটি হাসি যেন  
পৃথিবীর বাইরে কোথাও ঘটে যাওয়া সুপারনোভা বিস্ফোরণের মতো।  
তুমি সেই ব্ল্যাক হোল, যার কাছে গিয়ে  
আমার সমস্ত অস্তিত্ব বিলীন হয়ে যায় প্রেমের গভীরতায়।  

তুমি যদি মহাবিশ্বের শুরুর বিন্দু হও,  
তবে আমি সেই সময়-অন্তহীন প্রেমিক,  
যে তোমার আলোর পথে পথিক হয়ে  
চলতে থাকবে অনন্তকাল।