রাত ফুঁড়ে উঠে আসে এক নতুন সকাল,  
সেই ভোরের আলো লাল— রক্তলাল!  
শহরের দেয়ালে আঁকা আগুনের ছবি,  
রাস্তায় ঝরেছে শপথের নীলা জলধারা,  
আজ আবার ইতিহাস লিখবে নতুন মানুষ,  
শিকল ভাঙবে, ধ্বংস হবে শোষকের কারাগারা।  

এই শহরের বাতাসে এখন বিদ্রোহের গান,  
জেগে উঠেছে পথে পথে শ্রমিকের প্রাণ।  
ক্ষুধার্ত চোখে তারা দেখে নতুন স্বপ্ন,  
তাদের মুষ্টিবদ্ধ হাত আজ বজ্রসম দৃপ্ত!  
নেতিয়ে পড়া কাঁধে জেগেছে শক্তির শিখা,  
কেউ আর মাথা নত করবে না,  
কেউ আর রাজপথ ছেড়ে পালাবে না!  

এই মাটিতে প্রতিধ্বনিত হয় মানুষের ধ্বনি,  
"আমরা বাঁচতে চাই! মুক্তি চাই!"—  
রক্তের বিনিময়ে, বিদ্রোহের শপথে,  
এই দিন, এই মাস, এই জুলাই!  
একদিন যে পথ ছিল নিঃসঙ্গ ও নির্বাক,  
আজ সেই পথেই বাজে পদধ্বনি,  
হাজারো কণ্ঠের একসাথে গাওয়া গান—  
"এই পৃথিবী আমাদের,  
শোষকের নয়, খুনির নয়, লুটেরাদের নয়!"  

তুমি যদি আমাদের রুখতে চাও,  
তবে জানবে— আমরা আগুনের সন্তান,  
তুমি যদি আমাদের বন্দি করো,  
আমরা শিকল ভেঙে গাইবো স্বাধীনতার গান!  
এই রক্ত, এই ঘাম, এই জ্বলন্ত অঙ্গার,  
এই শহরের দেয়ালে খোদাই করা লড়াইয়ের ইতিহাস,  
তাকে মুছতে পারবে না কোনো শাসকের হাত!  

কালো রাতের শেষে যে সূর্য ওঠে,  
সে সূর্য আগুনের, সে সূর্য বিদ্রোহের,  
সে সূর্য জুলাইয়ের, সে সূর্য জনতার!  
রক্তের মিছিল ঠেকাবে কে?  
গর্জে উঠেছে বঞ্চিতের কণ্ঠস্বর,  
আজ রাজপথ কাঁপে, শহর কাঁপে,  
মাটির বুক থেকে ঝরে পড়ে বিদ্রোহের ঝড়!  

আজ আর কোনো ক্ষুধার্ত শিশু কাঁদবে না,  
আজ আর কোনো মায়ের চোখে জল জমবে না,  
আজ শ্রমিকের হাতের ঘাম গুনবে না হিসেবের খাতা,  
আজ কৃষকের ফসলের দাম দেবে লুটেরা শাসক!  
আজ বুকের রক্ত দিয়ে লেখা হবে নতুন ইতিহাস,  
আজ মানুষ জানাবে—  
"আমরাই শাসক, আমরাই সত্য,  
আমরাই নির্মাণ করবো নতুন পৃথিবী!"  

এই বিদ্রোহ কোনো কাগজে লেখা গল্প নয়,  
এ কোনো বক্তৃতার ভাষা নয়,  
এ জীবন-মরণের খেলা,  
এ এক নতুন পৃথিবীর উন্মেষ,  
এ এক মহাকাব্যের সূচনা