ভালোবাসা কখনও মেপে আসে না,  
তবু আমি চেয়েছিলাম—  
তোমাকে একটু কম ভালোবাসতে,  
একটু কম কাছে যেতে,  
একটু কম ডুবতে তোমার ভেতর।  

কিন্তু সে চাওয়া ছিল একেবারেই বৃথা।  
তোমার চোখের গভীরতা আমাকে গ্রাস করল,  
তোমার হাসির ভিতরে আটকে গেলাম,  
তোমার ছোঁয়ার মধ্যে  
একটা ঘর বানিয়ে ফেললাম নিজের অজান্তেই।  

আমি চেয়েছিলাম,  
ভালোবাসাটা কেবল দূর থেকে বয়ে যাওয়া  
একটা বাতাসের মতো থাকুক,  
কখনও ঝড় হয়ে না উঠুক!  
কিন্তু তুমি যে ঝড়ের মধ্যেই রূপকথা খুঁজে পাও,  
তুমি যে দুঃখের মাঝেও রঙিন প্রজাপতি দেখতে পাও।  

আমি চেয়েছিলাম,  
ভালোবাসা হোক ব্যাকরণে বাঁধা,  
সময়ের নিয়মে চলুক,  
আসুক হিসেব করে,  
যেমন আসে ঋতুর পালাবদল।  
কিন্তু ভালোবাসা তো  
নিয়ম মেনে আসে না,  
সে আসে ঠিক তখন,  
যখন তুমি প্রস্তুত নও,  
ঠিক তখন,  
যখন তুমি কাঁপতে কাঁপতে  
একাকীত্ব আঁকড়ে ধরতে চাও।  

আমি জানি,  
ভালোবাসারও এক ধরনের ভার থাকে,  
একটা ওজন থাকে,  
যা কাঁধে নিয়ে হাঁটতে হয়!  
তবু কেন যেন তোমাকে ভালোবেসে  
সব ভার হালকা মনে হয়!  

আমি সত্যিই এতটা ভালোবাসতে চাইনি।  
আমি চেয়েছিলাম তোমাকে  
একটা গল্পের মতো পড়তে,  
শেষ পৃষ্ঠায় এসে বন্ধ করে দিতে বইয়ের মলাট।  
কিন্তু তুমি যে আমার গল্প হয়ে গেলে,  
একটা শেষ না হওয়া গল্প,  
যেখানে প্রতিটি পাতায় আমি হারিয়ে যাই,  
প্রতিটি বাক্যে আমি নতুন করে জন্ম নিই।  

আমি সত্যিই এতটা ভালোবাসতে চাইনি!  
তবু তুমি ভালোবাসাকে  
একটা নির্ভরতার নাম করে দিলে,  
একটা ঘরের আলো করে দিলে,  
একটা জীবনের অর্থ করে দিলে।