আমি বুকের গভীরে গুঁজে রেখেছি
একটা শূন্যতা, মরুভূমির মতো,
যেখানে ধুলো ওড়ে—
যেখানে স্বপ্নেরা গলির কুকুর হয়ে
ক্ষুধার্ত ঘুরে বেড়ায় প্রতিদিন।
তুমি চাইলে ঢেলে দিতে পারো
তোমার দু’ফোঁটা অনুশোচনা,
আমি সাগরের মতো ঢেউ তুলবো,
জলোচ্ছ্বাসে ভাসিয়ে দেবো
শহরের সব রঙিন মিথ্যে!
আমার কান্না জমে আছে
রাতের নিঃসঙ্গ সাগরে,
তুমি ছুঁয়ে দেখো—
নোনাজল দগদগে ক্ষতের মতো
কেবল দগ্ধ করবে তোমাকে।
আমার কষ্টগুলো যখন
শব্দহীন হয়ে উড়ে যায়,
আকাশ ভরে ওঠে অভিমানী মেঘে,
তখন বাতাসেরও ব্যথা হয়—
তখন পৃথিবীও বোবা হয়ে যায়।
আমি চুপ করে থাকলে
শুধু নিস্তব্ধ রাত শোনে
আমার দুঃখের সংলাপ,
শহরের সমস্ত হলুদ বাতি
কান পেতে থাকে নিঃশব্দ চিৎকারে।
আমার ভেতরে বিষাদের কারখানা,
সেখানে প্রতিদিন জন্ম নেয়
একটা করে অসমাপ্ত কবিতা—
একটা করে ভাঙা স্বপ্ন,
একটা করে অচেনা বিদ্রোহ।
তবুও আমি রাস্তায় নেমে আসি,
তবুও আমি ভিড়ে হারাই,
তবুও আমি বুকের ভেতর
একটা মরুভূমি পুষি,
যেখানে বৃষ্টি নামাতে পারো কেবল তুমি!
তুমি দূরে গেলে আমি দগ্ধ হই,
তুমি কাছে এলে আমি হারিয়ে যাই,
তবুও তোমার ডাকে সাড়া দেই,
যেন যন্ত্রণাই আমার আশ্রয়!