তরবারি বিক্রি করে তসবিহ কিনেছিলাম,
এখন আবাবিলের অপেক্ষায় দিন গুনি।
বন্দুকের নল ছেড়ে রোজা ধরেছিলাম,
তবু বারুদের ঘ্রাণেই শ্বাস বন্ধ হয় শুনি।

আমরা জানতাম, এ জমিন একদিন কাঁদবে,
রক্তের বৃষ্টি হবে আকাশের চোখে,
কিন্তু আমরা ভেঙে পড়িনি,
আমরা মাথা নত করিনি,
আমরা ধ্বংস হয়ে আবার গড়েছি,
পাথর হাতে মৃত্যুর সাথে খেলেছি।

তোমরা আমাদের কেঁদে ফেলতে বলো,
তোমরা আমাদের নিভে যেতে শেখাও,
কিন্তু আমরা কাঁদতে জানি না,
আমরা খুন হয়ে বেঁচে থাকি,
আমরা ধ্বংস হয়ে গড়তে জানি।

মিনারের শিখায় আগুন জ্বলে,
আকাশে উড়ে বেড়ায় বোমার বিষ,
পৃথিবী দেখে—
একটি শহর ধুলো হয়ে যায়,
একটি ঘর পুড়ে ছাই হয়,
একটি শিশুর শরীরে বুলেটের চিহ্ন,
তবু শহীদের রক্তে জন্ম নেয় প্রতিরোধ।

যেখানে ছিল বাবার কবর,
সেখানে আজ ট্যাংকের চাকা ঘোরে,
যেখানে ছিল মায়ের রান্নাঘর,
সেখানে বোমার খোঁজে ড্রোন ওড়ে।
তবু আমাদের রুটি ভিজে উঠে
রক্তের বৃষ্টিতে, চোখের জলে নয়।

তোমরা বলেছিলে—
আমাদের কান্না হবে আমাদের শাস্তি,
আমাদের মৃত্যু হবে আমাদের পরাজয়।
কিন্তু জানো না,
আমরা যারা শহীদ হতে শিখেছি,
তারা কখনো মরে না,
তারা ধ্বংসস্তূপের নিচেও
একদিন আশার কুঁড়ি হয়ে ফোটে।

আমরা ভয় পাই না মৃত্যু দেখেও,
আমরা ভয় পাই না শত্রুর আগুনে,
আমরা শুধু ভয় পাই—
আমাদের ঈমানের পতন,
আমাদের প্রতিবাদের মৃত্যু।

আজ হয়তো আমাদের অস্ত্র নেই,
আজ হয়তো আমাদের দেশ ধ্বংস,
কিন্তু কালকের সকাল হবে আমাদের,
কালকের ফিলিস্তিন জ্বলবে না আগুনে,
জ্বলবে স্বাধীনতার আলোয়,
আর সেই আলোয় দেখা যাবে—
আবাবিলেরা ফিরে এসেছে,
ফিরে এসেছে প্রতিশোধের ঝাঁক।