পুরনো ওই ঘাটে যে আর তরী ভিড়াও না মাঝি,
রোজই দেখি ইতিউতি করে অন্য ঘাটে যাও।
রঙ্গিলা উদলা নাও তোমার সময় পেলেই বাও
আমার ঘাটে ফিরেও তাকাও না।
পুরনো ঘাটের কথা একবারও কি মনে পড়ে না?
মনে না রাখারই কথা,
নতুন পেলে সবাই পুরনো যায় ভুলে।
আমি মাঝি তোমার সেই রঙ্গিলা নায়ে
রোজ নিশীথেই ভাসি,
নীল রঙের বাদাম তুলে নদী বরাবর ছুটি
ঢেউয়ে ঢেউয়ে ঢেউ কেটে ছলাৎ ছলাৎ বৈঠা বাই,
স্রোতের অনুকূলে বাতাস লাগে পালে
ক্ষিপ্রতায় তরী নাচে,
তোমার রঙ্গিলা তরী মাঝি
সহসা ময়ূর পঙ্ক্ষী হয়ে উঠে।
সম্মুখে শুধু আকাশ আর নদী।
সাই-সাই করে ময়ূর পঙ্ক্ষী হঠাৎ
পাখির মতো আকাশে যায় উড়ে;
গগনে সাদা মেঘের ভেলা- বেলীফুলের ঘ্রাণ ছড়ায়,
মেঘগুলো সব ধরা দেয় হাতে ফুল হয়ে
ময়ূর পঙ্ক্ষী বোঝাই করে ঘরে তুলি ফুল
মাতাল সুগন্ধে ভরা সেই ফুলে মালা গাথি।
মালা না হয় না নাও মাঝি- একবার এসে দেখে যেও
কেমন হয় এ মেঘফুল আর এ মেঘফুলের মালা;
কতটা বিরহী সুভাস ছড়ায়
আমায় কতটা অনলে পুড়ায়;
বিনয় করি মাঝি একবার এসে দেখে যেও-
আমার এ বিনোদিনী বেশ আর এ মেঘফুলের মালা।
১৫ জুন ২০২১
তেজগাঁও, ঢাকা- ১২১৫।
(মুক্তক অক্ষরবৃত্ত)