"লীলা" একটি উদ্ভুত রকমের রহস্যময় শব্দ। কোন শব্দের আগে বা পরে এটি জুড়ে দিয়ে অনেক শব্দ গঠন করা যায়। যেমন: লীলাখেলা, রঙ্গলীলা, প্রেমলীলা, ভবলীলা, পরলীলা, কৃষ্ণলীলা, লীলাক্ষেত্র, লীলাভূমি, লীলাবতী ইত্যাদি। শুধু "লীলা" শব্দটিই এককভাবে বহু অর্থে ব্যবহৃত হয়। ছোট বেলায় দাদীদের দেখেছি "তোর লীলা কিন্তু আর সহ্য হচ্ছে না" বলে বকা দিতে। অনেকে মজা বা রাগ করে বলে "কি লীলা কর?" তেমনি আজ রহস্যময় লীলা শব্দটি নিয়ে মাথায় একটি বিষয় এসেছে:
লীলাখেলা কর মাঝি
লীলাখেলা কর
লীলাখেলা ছেড়ে মাঝি
নামাজ রোজা ধর
ভবলীলা ছাড় মাঝি
পরলীলা ধর
পরলীলা ধর মাঝি
ভবলীলা ছাড়।
ভবলীলায় পইড়া মাঝি
কতো মাস্তি কর,
সব লীলাতেই মজা আছে
যে লীলাতে যে মজেছে,
সত্য লীলায় যে ডুবেছে
আসল মজা সে পেয়েছে।
দুই চর্মচক্ষু যেদিন মুদবে
সেদিন কিযে জবাব দিবে,
সকল লীলা সাঙ্গ করে
ধরা পড়বে পরপারে,
পার পাবেনা রিপুর দোষে
হিসাব নিবেন কষে কষে।
তোমার দেহের তুমি মাঝি
হাল ধরিতে হওগো রাজি,
সত্য পথের ধরলে দিশা
ভয় লাগেনা অমানিশা,
বাদাম তুলো সঠিক পথে
পার পাবেযে পুলসিরাতে।
লীলাখেলা কর মাঝি
লীলাখেলা কর
লীলাখেলা ছেড়ে মাঝি
নামাজ রোজা ধর
ভবলীলা ছাড় মাঝি
পরলীলা ধর
পরলীলা ধর মাঝি
ভবলীলা ছাড়।
ভবলীলায় পইড়া মাঝি
কতো মাস্তি কর,
সব লীলাতেই মজা আছে
যে লীলাতে যে মজেছে,
সত্য লীলায় যে ডুবেছে
আসল মজা সে পেয়েছে।