খোঁপায় কদম আর দুচোখ জুড়ে মেঘের কাজল
গলায় বেলী'র মালা, করতলে জুঁই আর বকুল
দেখেই চিনেছি তাকে - আষাঢ়ের মেয়ে 'বৃষ্টি'!
সর্বাঙ্গের পত্র পল্লবে তার জলের ছটা
সবুজ আঁচলে মুখখানা মুছে শুধালো মিনতি
কবিতাও কি গেছে বানের জলে ভেসে?
বিবাগী কবি জানেনা উত্তর।
শ্রাবণের বুকের তলায় ভালোবাসার মাছেরা
গড়ে তোলে মায়াবী খেলাঘর
অনাচারী সুখের কষ্টগুলো গাঙচিল কলরবে
জোয়ারে সাঁতরায়.......
নির্বাসিত কবির মুখচ্ছবি ভেসে ওঠে ডাঙায়।
একদিন বর্ষণ শেষে রঙধনু এসে
আমারও ভেঙেছিল ঘুম,
জেগে দেখি অনিমেষে বিষন্ন সন্ধ্যায়
বৃষ্টি' র ঝরা পালক লুটোপুটি খায়
মেঘেদের নির্জল আঙিনায়।
কবে যে কখন কবিতার সাথে গড়েছি সংসার
কে জানে কতদূর তার জলের বাসর
শব্দ জালে মিশে উঁকি দিয়ে গেছে
চেনা সুরগুলো বেজে ওঠে বেসুরো লয়ে.....
তবুও যতদূর চোখ যায়, চেয়ে থাকি অহর্নিশি
একদিন বৃষ্টিবিহীন পড়ন্ত বিকেলে
মেঘের আঁচল উড়িয়ে রঙধনু বেশে
বিদ্যুৎ চমকের মতো তুমি এসে বলবে-
ধুর ছাই, তুমিও কবিতা বোঝ না!"