মহাবিশ্বের শেষ সীমান্তে তারকারাজির মেলায়
হঠাৎ শুকতারা এসে সমুখে দাঁড়ালো,
প্রণতি জানিয়ে শুধালাম তাকেই
সপ্তর্ষিমণ্ডল হতে একটি তারা দিতে পারো যদি
বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের সমস্ত পাপ শুষে নিয়ে নীলকণ্ঠ হবো;
পরের জন্মে এক কন্যা সন্তানের
গর্বিত জনক হবো, এই ভেবে
ছায়াপথ হতে একখণ্ড নক্ষত্র তুলে এনে
নাম রেখেছি - 'সপ্তর্ষি'
সে আমার হারিয়ে যাওয়া মা!
তার সাথে প্রতিনিয়ত দেখা হয়, কথা হয়
যেমন ঈশ্বরের সঙ্গে হয়, সংগোপনে;
মান-অভিমান, শাসন-বারণ, কি-না হয়!
আমার বুকের ভিতর তার চঞ্চল হামাগুড়ি
পুতুল খেলার সরঞ্জাম, হাড়ি-পাতিলের খেলাঘর
বড্ড গোছানো তার মহাজাগতিক সংসার।
আমি তার কথা ভেবে ভেবে
মা'য়ের মৃত্যু শোক ভুলে থাকি,
ইশারায় ডেকে এনে চুলের বিনুনি বেঁধে
ঘ্রাণ নিয়ে দেখি-
মা'য়ের চুলের সেই চেনা গন্ধটা
আমাকে টেনেহিঁচড়ে নিয়ে যায় কবিতার আশ্রমে।
বাবার অনুভূতি পড়তে পারা স্বরলিপি দিয়ে
সে এখন তানপুরায় সুরের ঝংকার তোলে,
শুকতারার পানে চেয়ে থাকি অহর্নিশি
এই বুঝি মা'য়ের মুখচ্ছবি সাথে ল’য়ে
সপ্তর্ষিমণ্ডল হতে একটি তারা খসে পড়ে
খুব কাছে এসে বলবে-
এইতো বাবা, আমিই তোমার মা!
---------------------------------
২৯/০৩/২০২৫