এ কেমন সংক্রান্তি সতীর্থ তোমার
পবিত্র স্নান শেষে, ব্রতচারী উপবাসে
প্রহরের লগ্ন গুনি দয়াময়ী দক্ষিণার
প্রতিদানে নির্লিপ্ত রবে নিরুত্তাপ শরীর।

এসো ভুল তালে বাজাই তবে বৈশাখী ঢাক
দেবদারু অঙ্গে নেচে উঠুক লক্ষীর পেঁচা
কালো জলে ভেসে আসা কাকের পালক
হলুদ বসন্ত ছুঁয়ে যাক চৈত্রের অভিশাপ।

না হয় রুদ্রাক্ষের শিকড়েই খুঁজে নেবো ঘর
অমরাবতীর দরজায় মুখোমুখি হবো তাঁর,
সন্যাসে জলাঞ্জলি দেবো দহনের সুখ
নিরাশ্রয়ে নির্বিকার বসে থাক বৈরী ঈশ্বর
দানের মন্ত্রেই হোক, না পাওয়ার অভিসার।

----------