মাঝরাতে আধো ঘুমে আধো জাগরণে
মগজের অপভ্রংশ কোষে
কিছু সাবলীল শব্দমালা এসে
সন্তর্পণে বাসা বেঁধে শুদ্ধস্বরে বলেছিল
ঘুম ভাঙলেই এক নতুন কবিতার জন্ম হবে।
শিউলি ফোঁটা ভোরে জেগে উঠে দেখি
স্বপ্ন-বিহঙ্গের ডানায় ভর ক'রে শব্দগুলো
উড়তে উড়তে দূর নীলিমায় ভেসে গেছে;
আমি রাখাল বালকের কানে কানে বলি
তোর ঘুড়িটার সঙ্গে আমায় বেঁধে দিবি?
আমিও আকাশ পাড়ি দিয়ে স্বপ্ন-স্বাধীন হবো।
ভালোবেসে এক তরুণীকে বলেছিলাম
চল আজ শহীদ মিনারে গিয়ে বসি,
তার নির্লিপ্ত বাঁকা চোখে আমার স্বপ্নগুলো
ম্লান হতে হতে একুশের বইমেলায়
জীবনানন্দের মলাটে হাত বুলিয়ে বলেছি
নেবে? বাঁকা ঠোঁটে তাচ্ছিল্যের হাসি
দেখতে দেখতে টিএসসি, চারুকলা, শাহবাগ
নিমিষেই পার হয়ে বেইলী রোডে এসে ফুচকা খেতে খেতে বললামঃ চল,
মহিলা সমিতির মঞ্চে নাটক দেখি আজ,
এবার ক্রুদ্ধ দৃষ্টি হেনে তরুনীর ঝাঁঝালো উত্তর
ওসব বাউণ্ডুলেপনা ছেড়ে এবার মানুষ হও!
সেই থেকে আজও আমি মানুষের ভীড়ে
নিজেকে হারাই- প্রভাত ফেরিতে, ছায়ানটে,
রমনায়, বকুল তলায়, নবান্ন উৎসবে....….
তন্নতন্ন করে খুঁজি একজন বাউন্ডুলে মানুষ।