একদিন এই বঙ্গ ভিটায় শ্বাপদের হিংস্র তান্ডবে
আমাদের শস্যক্ষেত, বাগান, জলাশয়, ঘর
ছাপ্পান্ন হাজার বর্গমাইলের শরীর
ছিন্নভিন্ন, রক্তাক্ত হোলিখেলায় মত্ত হলো;
পিতামহের বুকের উপর শ্বাপদের নগ্ন পা
বাবার চোখদুটো তুলে নিয়ে বিকৃত অট্টহাসি
মমতাময়ী মায়ের শাড়ির আঁচলে ঝুলন্ত লাশ
আদুরী বোনের অসহায় আর্তচিৎকার!
অতপর আমার কন্ঠে উচ্চারিত দেশপ্রেম-
আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি।

আমাদের ধ্রুপদী সুরের মূর্ছনায় শ্বাপদের দল
হুক্কাহুয়া রবে সমস্বরে গেয়ে ওঠে গান,
হাটি হাটি পা পা করে বেড়ে ওঠা ছানাগুলো
দেখতে দেখতে বীভৎসতার পরাকাষ্ঠা হলো;
এখন তাদের হিংস্র নখের আঁচড়, মাংসাশী দাঁত
জননীর নাভিমূল ছিঁড়ে ছিঁড়ে উল্লাসে মাতে।
আমি পিতামহের লাশের উপর দাঁড়িয়ে
নপুংসক চোখ মেলে খুঁজি বাবার উপড়ে ফেলা
একজোড়া দেশপ্রেমিক চোখ,
মায়ের কন্ঠে জড়ানো ছেঁড়া শাড়িটার ভাঁজে
সযত্নে রাখা আদুরে বোনটির বীরাঙ্গনা খেতাব
ছুঁয়ে দেখি, কোথাও কোন দাগ লেগেছে কিনা।

স্বদেশ আমার, সোনার সংসারে শকুনির থাবা
রাজনীতির লম্পট কৌশলে রাবণ তোষণ
পরার্থের অর্থনীতি হারায় আপন নিবাস,
অপসৃয়মান স্মৃতির অসুখ বুকের পাঁজরে বেঁধে
শহীদ মিনারে দাঁড়িয়ে শোকাহতের সম্বল খুঁজি
এক মিনিটের নীরবতা ভেঙে যায় হঠাৎ
প্রিয় বাংলাদেশ, কান পেতে শোন  
তোমার সবুজ বুকে আবার ধর্ষিতার আর্তনাদ!
----------------------------------