শুদ্ধাচার মেনে সেই সুদর্শন যুবক
অনর্গল অকপটে বলেছিল 'সুন্দর'  
নির্লজ্জ ভেবে ফিরিয়ে নিয়েছি মুখ,
বিশুদ্ধ বিড়ম্বনায় বিবস্ত্র পৌরুষ
আটপৌরে ভালোবাসার কৌমার্য হারায়;
অশুচি আবেগে তার পঙ্কিল সুখ
নিথর মগ্নতায় ব্যাকুল শীতল শয্যায়।

মৌন-পাশবিক লোকাচার মেনে
ফুলের বাসনায় বাসন্তী ব্যভিচার
অপরূপা কোলাহল স্রোতে ভেসে যায়;
সুফলা অরণ্যে তোমারও কি ঘর?
মাধুকরী জালে মায়াবী মুখোশ
নিশিদিন ভাঙে সাজানো বাসর।
পোড়ামুখী সুখ আশ্রিত আলো জ্বেলে
জলের কুমির জলাঞ্জলি দিয়ে যায়
মরন ব্যাধি- জলচর স্মৃতির অসুখ।

তুমিও কি সেথা রোদ্দুরে মেলে ধরো
আকাশের বুক? জানালার ওপাশে
পাতা ঝরা শেফালির সকরুণ চোখ
জলে ভেসে আসা ডাহুকের ডাক,
শান্ত বধির কাপুরুষ প্রেমিক!
এই নাও সকাতরে তৃষ্ণার্ত চিবুক
মেঘেদের পালকে বৃষ্টির ফোঁটা হয়ে
কান্নার জলছবি রঙ এঁকে দিও।

-------------