অকালবোধনে তাঁর চোখে কবিতার রক্তবীজ
বুনে দিয়ে বলেছিলাম - সুখী হও!
সুখী না হয়ে সে এখন মস্ত এক কবি
তাঁর কবিতার আশ্রমে ভিখারি কবিদের মেলা,
জটাধারী বাউল কবিতা-প্রেমীদের ভীড় ঠেলে
এক চিলতে বারান্দায় দাঁড়িয়ে আমি
চাঁদের রহস্য দেখি,
ফুল-পাখি'দের লুকোচুরি খেলা
রাতের নিস্তব্ধতা আর হলুদ বসন্ত দেখি।

অমাবস্যা ভীষণ পছন্দের ছিল তাঁর
পেঁচার ডাক, শিয়ালের হুক্কাহুয়া রবে
বেজায় শিহরিত হতো সে,
আকাশের ছায়াপথ বেয়ে তাঁর কল্পনার রঙ
মেঘের শরীরে রঙ্ধনু মাখাতো একদিন ;
সে এখন দ্বাদশী চাঁদের আলোয় দেখে
নিজের প্রতিচ্ছবি জলের আয়নায়।

আমি তাঁর সীমান্ত পেরিয়ে যেতে যেতে
কাঁটাতারে খুঁজে পাই রক্তাক্ত শরীর,
কবিতার কাছাকাছি এসে দেখি
কবির অশ্রুপাত গড়িয়ে গেছে কীর্তিনাশার দিকে।
-----------------------------------