এই বুকের তলায় এক অখণ্ড আকাশ
কেউ কেউ ভুল করে তাকে প্রেম বলে ডাকে!
জীবনানন্দে বুঁদ হয়ে একদিন তুমিও
হায় চিল, উড়ে উড়ে ক্লান্ত পাখা দুটি
মেলে ধরেছিলে অশ্বত্থের শাখায়......
আমি কিশোর বালকের ঘুড়ির বুকে শুয়ে
পাখিদের ওড়া উড়ি দেখি, তোমাকে দেখিনা।
কী করে বলি, 'ওইখানে যেও নাকো তুমি'
আমার আকাশের ওপারে আর
নেই কোন আকাশ,
শুধু রাতের স্নিগ্ধ মৌনতা জুড়ে
একখণ্ড অন্ধকার জেগে আছে।
জন্মসূত্রে যা কিছু পেয়েছি, যার যেটুকু হিস্যা
বুঝে নিতে চাই, আজ পৃথিবীর বড়ো দু:সময়
বিষয়-আশয় ফেলে রাখতে নেই জানো তো!
স্বচ্ছ নীলাকাশটুকু তোমার ভাগে থাক
মেঘলা অংশ হলেই চলে যাবে আমার,
অন্ধকারের ভাগ কিন্তু সমানে সমান চাই-
অমাবস্যাকে সমান দুই ভাগ করে নিলাম,
পূর্ণিমা নিয়ে তোমার দাবীর কথা মনে আছে
পুরোটাই নিয়ে নেবে নাকি এক চিলতে...
থাক, এ বয়সে আর ওসব দিয়ে কী হবে!
তারচেয়ে না হয় বৃষ্টির ভাগটুকু বাড়তি দিও
আগের মতোই আজও তাকে বন্ধু বলে জানি।
রবীন্দ্রনাথ তুমি ছাড়বে না, সে তো জানি
বিনিময়ে জীবনানন্দ চাইলে তাও মানবে না,
শক্তি-বিষ্ণু, সুনীল-সুভাষ-সুকান্ত-রুদ্র
হেমন্ত -সাগর-শচীন, মান্না-ভুপেন-সতীনাথ
অতুল-রজনী-দ্বিজেন-লালন-রবীন্দ্র-নজরুল
সবই যদি তোমার হয়, আমার তবে কী!
সকল অসম বন্টন মেনে নিয়ে তারপর
বুকের তলায় জমিয়ে রেখেছি -
এক অখণ্ড আকাশ, সবুজ বৃক্ষরাজি
অমাবস্যার রাত, বিক্ষুব্ধ প্লাবন, দাবানল
ছায়াপথে ফুরিয়ে যাওয়া নক্ষত্রের ফসিল
সমুদ্রের তলদেশে কুড়িয়ে পাওয়া শৈবাল
আর পূর্ব-পুরুষের রক্তঋণ.......
ভালোবাসার অভাবে একদিন
করুন মৃত্যু হবে এই বৈষম্যের পৃথিবীর,
কাফনে মোড়ানো সূর্যকে কাঁধে নিয়ে
শবযাত্রায় হেঁটে যাবো ছায়াপথ মাড়িয়ে
নতুন নক্ষত্রলোকে বুক চিড়ে জন্ম দেবো
এক মহাপৃথিবীর এবং আমি তার ঈশ্বর হবো।
------------------------------------------